বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসবে কুবির অনুপ্রাস
বিল্লাল হোসেন স্বাধীন,কুবি প্রতিনিধি।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত পাঁচদিন ব্যাপি “বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব ২০২০-২২” প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি(বৃহস্পতিবার) সকাল দশটায় গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে উৎসব উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক ও সারাদেশের ৫০জন গুণী শিল্পী প্রশিক্ষক ও সংগঠকদের বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া, “শতবর্ষে শত কবিতায় মুজিব” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
কুমিল্লা জেলায় সংগঠক ক্যাটাগরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখি এবং আবৃত্তিশিল্পী ও প্রশিক্ষক হিসেবে কাজী মাহতাব সুমন বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান স্মারক তুলে দেন।
সারাদেশে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে একযোগে ভিডিও কনফারেন্সে উৎসবে যোগ দেন ৩৬৩টি আবৃত্তি সংগঠনের তিন হাজার নয়শত ছয় জন নিবন্ধন করা আবৃত্তিশিল্পী।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদভুক্ত কুমিল্লার নয়টি আবৃত্তি সংগঠন যথাক্রমে অনুপ্রাস কন্ঠচর্চা কেন্দ্র কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, আবৃত্তি সংসদ কুমিল্লা, ধ্বনিচিত্র, শব্দশ্রুতি, শাণিত উচ্চারণ, কবিতাবৃত্ত,বাকব্যান্জনা, ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার ও বাচিক বিকাশ কেন্দ্র কুমিল্লার সদস্যরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন ২৮জানুয়ারি (শুক্রবার) বিকাল চারটায় কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে উক্ত সংগঠনগুলো। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র আবৃত্তি সংগঠন অনুপ্রাস কন্ঠচর্চা কেন্দ্র কাজী মাহতাব সুমন-এর গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ‘বিজয় নিশান’ দলীয় পরিবেশন করেছে।
কুমিল্লা জেলার উৎসব সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী সদস্য মোঃ আল আমিন ও গোলাম মোস্তফা এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর পক্ষে জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা আয়াজ মাবুদ।
উল্লেখ্য, ২৭-৩১ জানুয়ারি ২০২২ পাঁচদিন ব্যাপি এই আবৃত্তি উৎসবে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার নিবন্ধিত আবৃত্তি সংগঠনগুলো অংশ গ্রহণ করবে।