জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত 

শামীমা মুন,জবি প্রতিনিধি।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকায় দেশের সব স্কুল, কলেজ ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও একই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়ার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো ইমদাদুল হক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,”জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক দৈনিক করতোয়াকে বলেন সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ক্যাম্পাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত, আপাতত ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পাস বন্ধ থাকবে।

কিছু ডিপার্টমেন্ট বিশেষ করে সাইন্স ফ্যাকাল্টির অধিকাংশ ডিপার্টমেন্ট এর দুই তিনটি করে ফাইনাল পরীক্ষা এখনো বাকি রয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান স্ব স্ব ডিপার্টমেন্ট যদি মনে করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া যায় তাহলে তারা নিবে।

অনলাইনে পরীক্ষা হওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে নাকি সে বিষয়ে উপাচার্য বলেন অনলাইনে শুধু ক্লাস হবে, আর ভাইবা বাকি থাকলে সেগুলো ও অনলাইনে হবে।

Post MIddle

আর যদি ডিপার্টমেন্ট মনে করে সশরীরে আসাই লাগবে, সেটা ডিপার্টমেন্ট গ্রুপ করে করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তা সম্পন্ন করবে।”

সায়েন্স ফ্যাকাল্টিতে যাদের দুই একটি করে পরীক্ষা বাকি রয়েছে এই পরীক্ষাগুলোর জন্য শিক্ষার্থীরা নতুন সেমিস্টার এর ক্লাশ শুরু করতে পারছে না।তবে অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট এর নতুন সেমিস্টার এর ক্লাশ শুরু হওয়ার তাদের ক্লাশ অনলাইনে চলবে। মনোবিজ্ঞান বিভাগে সব বর্ষের একটি করে পরীক্ষা বাকি আছে।পরীক্ষার ব্যাপারে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ-এর সাথে কথা হলে তিনি জানান যে,”ভিসি মহোদয়ের সাথে কথা বলে পরীক্ষার ব্যাপারে জানানো হবে।আর সবাই অনলাইন ক্লাশের দিকে চলে যাবে।আমরাও চাইলে অনলাইন ক্লাশের দিকে যেতে পারি।এক পক্ষের চাওয়ায় কিছু হবে না।ছাত্র,শিক্ষক,প্রশাসন সবার সহযোগিতায় আমাদের কাজ করতে হবে।”

শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তারা বলেন বলেন”একটা পরীক্ষার জন্য আবার না আটকায় যাই! অনলাইনে হোক বা অফলাইনে হোক,পরীক্ষা শেষ হোক।আর সেমিস্টার গুলো এবার চার মাসে করে নেওয়া প্রয়োজন।নাহলে আমাদের জীবনের মূল্যবান সময় গুলো করোনার প্রভাবে হারিয়ে যাবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তো অনলাইনে অনেক আগেই পরীক্ষা নেওয়া শুরু করছে।সব কিছুর সমন্বয়হীনতার কারনে ভুগতে হচ্ছে আমাদের।আশা করি আগের বারে পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আর বসিয়ে রাখার মতো সিদ্ধান্ত আসবে না।”

পছন্দের আরো পোস্ট