ড্যাফোডিলে ‘ফুটসাল ফিল্ড’ উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র হল ইউনুস খান স্কলার গার্ডেন-১ এ ফুটবল খেলার মিনি মাঠ ‘ফুটসাল ফিল্ড’ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে অবস্থিত ইউনুস খান স্কলার গার্ডেন-১ মাঠটি উদ্বোধন করেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ফুটবলার ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (উত্তর) যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল গাফফার।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, যুক্তরাজ্যের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসেকের প্রধান নির্বাহী এড মে, জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ফুটবলার শেখ মো. আসলাম, বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসিফুল হাসান, জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার অমিত খান শুভ্র, ইউনুস খান স্কলার গার্ডেনের হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এবিএম কামাল পাশা এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইসহাক মিজি প্রমুখ। উদ্বোধন শেষে জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় খেলাটি ২-২ গোলে ড্র হয়।

Post MIddle

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আব্দুল গাফফার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, এক সময় বাংলাদেশে ফুটবলের গৌরবময় ইতিহাস ছিল। এখন তো ক্রিকেটের জয়জয়কার। ক্রিকেটের চাপে ফুটবল কোনঠাসা। এরমধ্যেও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের চর্চা করে যাচ্ছ, এটি আশাব্যাঞ্জক। তোমাদের হাত ধরেই ফুটবল আবার হারানো গৌরব ফিরে পাবে। নিজের ফুটবলার জীবনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমাদের সময়ে খেলার জন্য এমন সুন্দর মাঠ ছিল না। আমরা নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে খেলেছি। তোমরা সেদিক থেকে ভীষণ সৌভাগ্যবান। তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এত সুন্দর একটি মাঠ উপহার দিয়েছে। আশা করি এই মাঠে ফুটবলচর্চা করে তোমরা এদেশের ফুটবলের ইতিহাসকে গৌরবান্বিত করবে।

উল্লেখ্য, ‘ফুটসাল’ ফুটবলের একটি ঘরোয়া মাধ্যম। ইদানিং এই খেলাটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এমনকি ফুটসাল বিশ্বকাপও আয়োজিত হয়ে আসছে। ফুটবলের এই ফরম্যাটে প্রতি দলে পাঁচজন করে খেলোয়াড় থাকেন। থাকেন একজন গোলরক্ষক। সর্বোচ্চ ১২জন পর্যন্ত খেলোয়াড় ব্যবহার করা যায় এই খেলায়। ফুটসালের সাথে ফুটবলের পার্থক্য হচ্ছে- মাঠের আকার। ফুটবল মাঠের চেয়ে স্বভাবতই দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে অনেক ছোট হয় ফুটসালের মাঠ।

ফুটসাল ফিল্ড

পছন্দের আরো পোস্ট