ভারতীয় অ্যাম্বুলেন্স পেল পাবিপ্রবি

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি।

ভারত সরকার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি জীবন রক্ষাকারী অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিয়েছে। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজশাহী অঞ্চলে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী’র হাতে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করেন।

ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, আধুনিক জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি সম্বলিত একেবারে নতুন অ্যাম্বুলেন্সটি জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার পথে রোগীদের মানসম্মত জরুরি সেবা এবং ট্রমা লাইফ সাপোর্টের জন্য উপযোগী। অ্যাম্বুলেন্সটি ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহের কর্মসূচির অংশ, যেমনটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২১ সালের মার্চ মাসে তাঁর বাংলাদেশ সফরের সময় ঘোষণা করেছিলেন।

এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি সঞ্জীব কুমার ভাটি বলেন, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত বাংলাদেশকে বিভিন্ন উপায়ে কিট, চিকিৎসা সরঞ্জাম, ভ্যাকসিন সরবরাহ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি কর্মশালার মাধ্যমে সহায়তা করেছে। কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ভারতের সাহায্যের প্রয়োজন হলে বাংলাদেশও সাড়া দিয়েছিল। বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে জনস্বাস্থ্য ও জনগণের কল্যাণের উন্নতি সাধনে ভারত তার সামর্থ্যরে সীমার মধ্যে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য যা করতে পারে তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দুই রাষ্ট্রের সম্পর্কের এখন সোনালী অধ্যায় চলছে। ভবিষ্যতে আমাদের সম্পর্ক আরো দৃঢ় ও বিস্তৃত হবে। তিনি বাংলাদেশের যোগাযোগসহ অবকাঠামো উন্নয়নের প্রশংসা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আরো উপকৃত হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা পরিবার, সমাজ, দেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরবেন। করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা পরিবার ও দেশের জন্য আরো বেশি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।

Post MIddle

সঞ্জীব কুমার ভাটিউপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সৃষ্টি হয়েছিল, বর্তমানে তা আরও বেগবান হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেওয়ার জন্য তিনি ভারতীয় সরকার ও সে দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান। এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খায়রুল আলম, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুল্লাহ্, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, প্রক্টর ড. মো. হাসিবুর রহমান, রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) বিজন কুমার ব্রহ্ম।

এর আগে সঞ্জীব কুমার ভাটি ক্যাম্পাসে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জম্মশত স্মারক ম্যুরাল জনক জ্যোতির্ময়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন এবং নির্মাণাধীন মন্দির, লেকসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রওশন ইয়াজদানী।

সঞ্জীব কুমার ভাটি

পছন্দের আরো পোস্ট