বাকৃবিতে রহিরাগতদের যত কর্মকান্ড

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ময়মনসিংহ থেকে রায়হান আবিদ।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ইদানিং ক্যাম্পাসের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়, বৈশাখী চত্ত্বর, আম বাগান, আম তলা, লিচু বাগান, জব্বার রেল লাইনসহ বিভিন্ন জায়গায় বহিরাগতদের অনৈতিক কর্মকান্ড বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

১২৬১ একর বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র তিনটি নিরাপত্তা জোন-আবাসিক এলাকা, অফিস এলাকা, খামার এলাকা যার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেইট ও সংলগ্ন  জোন অফিস, ভি.সি. বাস ভবন গেইট, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেইট ও সংলগ্ন জোন অফিস, দিঘারকান্দা গেইট (৪নং গেইট), পোল্ট্র্রি ডেইরি ফ্রার্ম গেইট (৫নং গেইট) অঞ্চলগুলো অবস্থিত।

এই নিরাপত্তা জোনগুলোতে যে সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী কর্মরত,সংখ্যা স্বল্পতায় তাদের দ্বারা সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও অঞ্চলগুলোর সামাজিক শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে পর্যবেক্ষকদের ধারনা।

Post MIddle

ক্যাম্পাসের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় ঘেঁষে এবং মেয়েদের হলের পিছন দিকে চলছে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ড। এরূপ অসামাজিক কর্মকান্ডের ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুবই লজ্জাজনক। এছাড়াও রেল লাইনের প্লার্টফর্ম, মুক্ত মঞ্চের সামনে, আম চত্বর, টিএসসি লেক, বৈশাখী চত্বর এলাকায় অনেক ছেলেমেয়েদের অশালীন ভাবে চলাফেরা করতে দেখা যায়।

বেগম রোকেয়া হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, মেয়েদের হলের পেছনে বহিরাগতদের আগমন ও অশালীন আচারণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রকাশ্যে ছেলেমেয়েদের মেলামেশা, ও নেশা করতে দেখা যায়। এসব নোংরা আচরণ ছাত্রী হলের পাশে ঘটবে তা কখনও ভাবতে পারিনি। এসব কর্মকান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে ।

প্রধান নিরাপত্তা অফিসার মহিউদ্দীন হাওলাদার এ বিষয়ে বলেন, আমাদের নিরাপত্তা কর্মী এখন কিছু কম আছে। করোনার কারণে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। ২০ জনকে নতুন নিয়োগের জন্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের নিয়োগ হলে আমরা ক্যাম্পসকে আরো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো। আমাদের নতুন একটি টহল গাড়ি দেওয়ার কথা সেটি দিলে আমরা আমাদের কাজের  অগ্রগতি আরোও বৃদ্ধি করতে পারবো।

পছন্দের আরো পোস্ট