ছাত্রী মেসে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্র

ইবি প্রতিনিধি।

ছাত্রী মেসে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়দের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্র।  শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে এক ছাত্রী মেসে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দুজন শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও ভূগোল বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

স্থানীয়রা জানান, রাতে মেয়েটির জন্মদিন পালন করতে ছাত্রীমেসে প্রবেশ করেন ছেলেটি।ভবনের তৃতীয় তলায় জন্মদিনের কেক কাটেন তারা। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে স্থানীয়রা মেসে প্রবেশ করে। এসময় তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন স্থানীয়রা। পরে ছাত্রটি কৌশলে বের হয়ে মেসের ছাদ থেকে পার্শ্ববর্তী মেসের ছাদে লাফ দেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে ছাদ থেকে নিচে নামানো হয়।

পরে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা বিপুল হোসেন খান ও হোসাইন মজুমদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। বাড়িওয়ালা মোজাম্মেল ও ছাত্রলীগ নেতারা ওই ছাত্রকে উদ্ধার করেন।

Post MIddle

স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি মেসগুলোতে এ ধরনের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। তবে হাতেনাতে কাউকে সেভাবে ধরতে পাড়েনি। মেসগুলোতে নির্দিষ্ট কোনো নিয়মনীতি না থাকায় তারা অবাধে মেলামেশার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রায়ই ছেলেদের মেয়েদের মেসের সামনে রাত ১১টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। মেসগুলোতে এ ধরনের অশ্লীল কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে মেসে প্রবেশের নির্দিষ্ট নিয়ম থাকা দরকার।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে বাসা মালিক ও স্থানীয় লোকজন এসব বিষয় নিয়ে মিটিংয়ে বসবে বলে জানিয়েছে এলাকার লোকজন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিষয়টি অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলোতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত প্রবেশের নিয়ম থাকলেও অনেক ছাত্রী রাতের বেলা হলের বাইরে ঘোরাফেরা করেন বলে জানা গেছে।  প্রান্তিক এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানের কারণে এ সময়টাতে এসব ছাত্রীদের সঙ্গে যেকোনো অঘটন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিভিন্ন শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে প্রশাসনের আরও সতর্ক হওয়া উচিত বলে মনে করছেন তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি সকালেই বিষয়টি জানলাম। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন ছাত্র এভাবে রাতের বেলা মেয়েদের মেসে যাওয়াটা খুবই আপত্তিকর। এর দায়ভার তাকেই নিতে হবে। তারপরও আমরা মেস মালিকদের সঙ্গে কথা বলবো যেন মেসগুলোতে একটু কঠোর নীতিমালা অবলম্বন করে।

পছন্দের আরো পোস্ট