বিযবির ইস্পাহানী প্রেজেন্টস কেইসেসিনেশনের দ্বিতীয় আসর

নিজস্ব প্রতিবেদক।

বাস্তবধর্মী ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীবৃন্দকে নতুন কিছু শেখার এবং নিজের জ্ঞানের সঠিক প্রয়োগ করে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জন করার সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে “গ্লোরি অ্যাওয়েটস” স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বিজনেস ক্লাব (বিযবি) এর অন্যতম প্রধান আয়োজন “ইস্পাহানী প্রেজেন্টস কেইসেসিনেশন” এর দ্বিতীয় আসর।

সাফল্যের যাত্রায় বিশেষ মাত্রা যোগ করার আশ্বাসে বিগত পহেলা জানুয়ারি ২০২২ সালে রাজধানীর নিকুঞ্জের গ্রেইস টুয়েন্টি-ওয়ান স্মার্ট হোটেলে এ অনুষ্ঠানটির গ্রান্ড ফিনালের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানটিতে প্রতিযোগী দলগুলোর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন আয়োজক ক্লাব ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বিজনেস ক্লাব (বিয বি) এর সদস্যবৃন্দ,ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি শিক্ষক, ইস্পাহানী এবং অন্যান্য কর্পোরেট জগতের বিভিন্ন গুণীজনেরা।

প্রায় সাড়ে তিনমাসব্যাপী চলা এই আন্তর্জাতিক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কেইস প্রতিযোগিতাটির গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরলা ফুডস বাংলাদেশের হেড অফ মার্কেটিং গালিব বিন মুহাম্মদ,রেকিট বাংলাদেশ এবং শ্রী-লংকার ক্লাস্টার হেড অফ সাপ্লাই মোহাম্মদ জিয়া উদ্দীন এবং বিকাশ এর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অফ ব্র্যান্ডস জনাব আশরাফ উল বারী।

অনুষ্ঠানটির বক্তব্যে সম্মানিত বিচারক গালিব বিন মুহাম্মদ বলেন,”আপনারা যদি ভেবে থাকেন কর্পোরেট জগতে আপনারা কেবলমাত্র আপনার সহপাঠী, শুধুমাত্র ঢাকা শহর কিংবা শুধুমাত্র বাংলাদেশের শিক্ষার্থীবৃন্দের সাথে প্রতিযোগিতা করবেন, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তনের প্রভাবে আপনারা বর্তমানে বিশ্বসেরা সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সাথে একই প্রতিযোগিতায় রয়েছেন”।

Post MIddle

এবিষয়ে তিনি আরও বলেন,“প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে এবং নিজের শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করতে হলে প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিজেকে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে।

বিচারকবৃন্দের পাশাপাশি অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক  বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত রেজিস্টার ডক্টর ডেভিড ডল্যান্ড। এছাড়াও ক্লাব এর বিভিন্ন অর্জন এবং প্রতিযোগিতা নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন ব্র্যাক বিজনেস স্কুল এর সম্মানিত অধ্যাপক উম্মুল ওয়ারা আদৃতা এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বিজনেস ক্লাব (বিয বি) এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ সাদাত হাসান ।

‘টেইমিং দা টাইডস্’,’হুইপ্ল্যাশ’ এবং ‘দ্য আল্টিমেট কেইসেসিন’-তিনটি ধাপে সজ্জিত এই প্রতিযোগিতায় দলগুলোকে যাচাই করার জন্য ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল ব্যবসার বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত কঠিন সব চ্যালেঞ্জ। সল্প সময়ের মধ্যে তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তা, সৃজনশীলতা ও কারিগরি দক্ষতার পরিচয় প্রতিটি ধাপে নিজেদের প্রমাণ করতে হয়েছিল প্রতিটি দলকেই। প্রতিটি ধাপেই কর্পোরেট জগতের সদস্যবৃন্দ তাদের তত্ত্বাবধায়ন এবং নির্বাচনের দ্বায়িত্বে ছিলেন।

পহেলা জানুয়ারি ২০২২ তে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড ফিনালেতে  এই প্রতিযোগিতার সেরা তিনটি দলের নাম ঘোষণা করা হয়।পরিশ্রম,দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং বুদ্ধিমত্তার কঠিন লড়াই শেষে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের “টিম ডিজিটাল”,আর্মি আইবিএ এর “টিম এজোর আহাই” এবং আইবি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর “টিম থ্রেট লেভেল মিডনাইট” যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে।বিজয়ী দলসমূহকে তাদের ভবিষ্যৎ উচ্চশিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ইস্পাহানী টি লিমিটেড এর পক্ষ থেকে যথাক্রমে ১৫০,০০০ টাকা,১০০,০০০ টাকা এবং ৫০,০০০  টাকা প্রদান করা হয়।

শুধুমাত্র প্রতিযোগিতাই নয় পাশাপাশি এই আয়োজন থেকে শিখেছেন আরও অনেক কিছু- আয়োজনটির বিষয়ে এমনটি ভাবছেন আগত শিক্ষার্থীবৃন্দ। এ বিষয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুস্তাকিম রহমান চৌধুরী বলেন,”মূল প্রতিযোগিতা উপভোগের পাশাপাশি আমরা শিখতে পেরেছি কিভাবে আমরা কর্পোরেট জগতের প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য নিজেরদের প্রস্তুত করতে পারি এবং কিভাবে আমরা নিজেদেরকে আগামী দিনের কর্পোরেট লিডার হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।”। আরেকজন শিক্ষার্থী নেহা রহমান বলেন,”পুরো অনুষ্ঠানটিই আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষনীয় ছিল। এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনের জন্য বিয বি কে ধন্যবাদ জানাই”।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলসমূহের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রতিযোগিতাটিকে করে তুলেছে আরও প্রাণবন্ত। আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতাটি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বিজনেস ক্লাব (বিযবি) এবং সর্বপরি ব্র্যাক  বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্যমন্ডিত পথযাত্রায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

পছন্দের আরো পোস্ট