রাবিতে বৃত্তি ও সম্মাননা পেলেন যারা

রাবি প্রতিনিধি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ কামারুজ্জামান এন্ড জাহানারা ফাউন্ডেশন বৃত্তি ও সম্মাননা প্রদান এবং ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেম’ শীর্ষক আলোচনা সভা আজ রবিবার অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের পুত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান (লিটন)।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর মো. আবুল কাশেম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের নাতনি ডা. আনিকা ফারিহা জামান (অর্ণা) বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

প্রধান অতিথি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন শহীদ কামারুজ্জামান এন্ড জাহানারা ফাউন্ডেশন বৃত্তিপ্রাপ্ত ৫ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তির চেক প্রদান করেন।

এবার বৃত্তিপ্রাপ্ত হচ্ছেন

Post MIddle

মোছা. জিনাত মামদুহা ইমু (ইতিহাস বিভাগ), সম্পৃক্তা রায় (আইন বিভাগ), অনু খাতুন (অর্থনীতি বিভাগ), আজমির জাহান (মনোবিজ্ঞান বিভাগ) ও মো. জাহিদুল ইসলাম (কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ)।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালে জেল হত্যাকাণ্ডে শহীদ চার জাতীয় নেতার অন্যতম এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও তাঁর মরহুমা স্ত্রী জাহানারা জামানের স্মরণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দরিদ্র, মেধাবী ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের জন্য এই বৃত্তি প্রবর্তন করা হয়েছে। এজন্য শহীদের পরিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে ২৫ লক্ষ টাকা প্রদান করে। এই অর্থ থেকে ইতিহাস, আইন, অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়।

আলোচনায় প্রফেসর মো. আবুল কাশেম বলেন, যে মৌল নীতির ভিত্তিতে বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় ও চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করে তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এই চেতনা আকষ্মিক কোনো বিষয় ছিল না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি যে দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে ক্রমে সংগঠিত ও স্বাধীকারের লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছিল তার পথরেখা ছিল এই মৌল নীতির মধ্যেই। স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে কিন্তু দেশের উন্নয়নের জন্য অন্যতম প্রয়োজন আমাদের দেশপ্রেম। আমাদের কাজের মধ্যে দিয়েই দেশপ্রেমের স্বাক্ষর রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বলেন, মেধা ও মননের স্বীকৃতি না থাকলে সমাজে গুণীদের মর্যাদা যেমন থাকে না তেমনি মেধাও বিকশিত হয়না। যে মহৎ উদ্দেশ্যে শহীদ কামারুজ্জামান এন্ড জাহানারা ফাউন্ডেশন কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা অন্যদের জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকলো।

অতিথিবৃন্দ আগামীতে দেশের অর্থবান বিদ্যেৎসাহীদের মেধা লালনে তাঁদের উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলেও তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পছন্দের আরো পোস্ট