লোকগানের দল বালিকণা’র গুণীজন সংবর্ধনা
ইফতেখার আহমেদ ফাগুন।
সিলেটে গুণীজনদের সংবর্ধনা দিয়েছে লোকগানের দল বালিকণা। বালিকণা ব্যান্ডের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গুণীজনদের এই সংবর্ধনা দেয়া হয়। সঙ্গীতে অসামান্য কৃতিত্ব রাখায় বালিকণা ব্যান্ডের সদস্যবৃন্দ সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন একুশে পদক প্রাপ্ত সঙ্গীত শিল্পী সুষমা দাস, নজরুল সংগীত শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস ও সংগীত শিল্পী জামালউদ্দিন হাসান বান্নাকে।
এসময় অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে প্রবীণ শিল্পী সুষমা দাস বলেন, ‘বালিকণা সিলেটের লোকগানের পরিবেশন ও চর্চা করছে দেখে আমার ভালো লাগছে। সিলেটের লোকগানের শুদ্ধ চর্চা করে বালিকণা একসময় কুসুমকলি হয়ে ফুটবে এবং সারাদেশে লোকগানকে ছড়িয়ে দিবে’।
সাংস্কৃতিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় বালিকণা সম্মাননা জানান সিলেট সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আমিনুল ইসলাম লিটন, সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমেদ মিশু, সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত ও গীতিকবি শামসুল আলম সেলিমকে।
এছাড়াও যাত্রা শুরু থেকে দীর্ঘ পথচলায় সাথী হওয়ার জন্য বালিকণা ব্যান্ড শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করেন সিম্ফনি সাওন্ডের কর্ণধার নাজিকুল রানা, পার্বণ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও সাওন্ডের কর্ণধার কার্তিক পাল, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি উত্তম কুমার দাশ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ, মুক্তাক্ষর, কুঞ্জশ্রী ও আর এন্ড বি মিউজিককে।
বালিকণা ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বিপ্রদীপ কর রাজ জানান, বাংলার আবহমান লোকসংগীতকে লালন করে ২০১৭ সালে সিলেটে যাত্রা শুরু করে বালিকণা ব্যান্ড। ইতিমধ্যে, সিলেট সহ সারাদেশে লোকগান পরিবেশন করে জনপ্রিয়তা কুঁড়িয়েছে এই লোকগানের দল। আগামীতে লোকগানকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার বাসনা এই ব্যান্ডের সদস্যদের।
পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লোকগান পরিবেশন করেন বালিকণা ব্যান্ড, বৈতালিক ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেট্রোনোম মিউজিক্যাল ক্লাব।