কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে যোগ দিলেন প্রফেসর আক্তার হোসেন 

নিজস্ব প্রতিবেদক।

বিশিষ্ট কম্পিউটার বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, কলামিস্ট এবং বাংলাদেশের অন্যতম প্রযুক্তি পরামর্শক প্রফেসর সৈয়দ আক্তার হোসেন আজ (১ জানুয়ারি ২০২২) বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এবং ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডীন এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করেছেন।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ যোগদানের আগে প্রফেসর হোসেন ১ জানুয়ারি ২০২১ সাল থেকে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ  (ইউল্যাব)-এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ডিসেম্বর ২০১০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে একই পদে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রফেসর হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে ফলিত পদার্থবিদ্যায় স্নাতক এবং ১৯৯১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি অনুষদে প্রথম স্থান অর্জন করায় স্বর্ণপদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে পিএইচডি অর্জন করেন। তিনি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল বিষয়ে অটোমেশন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ফ্রাঞ্চের লুমিয়ের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন।

Post MIddle

তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইসিটি বিভাগের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন। আইসিটি শিক্ষায় অসামান্য অবদান এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য উদ্ভাবনী প্রকল্পের জন্য তিনি বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সমাজ দ্বারা ব্যবহৃত বাংলা ব্রেইলের জন্য মেশিন অনুবাদকের অবদানের জন্য বিশেষ করে তার শিক্ষামূলক কাজের জন্য তিনি অনেক আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ২০১৯ এবং ২০২০ সালে সেরা গবেষকের পুরস্কার অর্জন করেন। তার বর্তমান গবেষণার আগ্রহের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ, মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)।

ইরাসমাস মুন্ডাস পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো হিসাবে, তিনি ফ্রান্সের লুমিয়ের লিয়ন ২ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ইনফরমেটিক্স এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ২০১০ থেকে ২০২০ এর সময়কালে তিনি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে অনেক মেধা ও শ্রম দিয়ে ছোট পরিসর থেকে আজকের মহীরুহে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

২০১০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত এই সময়সীমার মধ্যে তিনি প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিংয়ে সিএসই শিক্ষার্থীদের মূল দক্ষতার বিকাশ ঘটিয়ে গবেষনার লক্ষ্যবস্তু তৈরি করেন এবং ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং (এনএলপি) এবং নিরলসভাবে গবেষনার ক্ষেত্রে সিএসই শিক্ষার্থীদেরকে গবেষনায় নিয়োজিত করার জন্য বিভাগের একটি উল্লেখযোগ্য র‌্যাঙ্কিং অর্জনে কাজ করেন।সিএসই বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আইসিটি বিভাগ (বিএইচটিপিএ), বেসিস (বিএসিসিও), আইএসপিএবি’র সহযোগিতায় জাপানের আইটিইই সহ সমস্ত প্রাসঙ্গিক শিল্পের সাথে সংযোগ স্থাপন করেন। তিনি এশীয় এবং ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ব্যাপক সহযোগিতা চুক্তি স্থাপন করে সিএসই শিক্ষায় আলোড়ন সৃষ্টি করেন। অর্জন করেন সিএসই প্রোগ্রামের জন্য দুইবার এবং একুশ শতকের পেশাদারদের মধ্যে ছাত্র ও শিক্ষকদের রূপান্তর করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে কাজ করে। এই সময়সীমার মধ্যে তিনি সিএসই বিভাগে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী একীকরণের মূল ধারণা, কম্পিউটার এবং প্রোগ্রামিং ক্লাব (সিপিসি এবং গার্লস কম্পিউটিং প্রোগ্রামিং ক্লাব (জিসিপিসি)-এর শিক্ষার্থীদের সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেন যা এ বিভাগের অভূতপূর্ব সাফলল্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

আজ তিনি অনেক জাতীয় এবং আঞ্চলিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগীতায় পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শিল্প শিক্ষা গবেষণা এবং প্রশিক্ষণে তার ৩০ বছরেরও বেশি সময়ের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি বিভিন্ন গবেষনা প্রকল্প, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে সক্রিয়ভাবে গবেষণা সহযোগিতায় জড়িত এবং ২৫০ টিরও বেশি প্রকাশনা বা প্রেজেন্টেশন রয়েছে এবং তার গবেষণা কর্মসমূহ  এসিএম, ডিবিএলপি, আইইইই এক্সপ্লোর এবং অন্যান্য গবেষণা ডেটাবেসে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

পছন্দের আরো পোস্ট