কেরানীগঞ্জের ‘লাল মসজিদ’শ্রেষ্ঠ মসজিদ স্থাপত্য শিল্পের তালিকায়

মুসলিম বিশ্বে অনন্য ‘মসজিদ স্থাপত্য শিল্পে’র অন্যতম শ্রেষ্ঠ নান্দনিক নিদর্শন হিসেবে বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশের কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ‘লাল মসজিদ’। মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল সালাম সম্মেলন হলে আয়োজিত এক রাজকীয় জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিজয়ী স্থপতি কাশেফ চৌধুরীর পক্ষে ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র গ্রহণ করেছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

আবদুল লতিফ ফৌজান আন্তর্জাতিক ‘মসজিদ স্থাপত্য শিল্পবিষয়ক অ্যাওয়ার্ড’-এর তৃতীয় সেশনে এবারের আয়োজনে গোটা মুসলিম বিশ্ব থেকে ৭টি মসজিদ স্থাপত্য শিল্পের অনন্য সাধারণ নিদর্শন হিসেবে নির্বাচিত হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে- সৌদি আরব, মিসর, লেবানন, ইন্দোনেশিয়া, মালে ও তুরস্ক।

Post MIddle

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের হাতে সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন অ্যাওয়ার্ড ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রিন্স সুলতান বিন সালমান এবং মদিনা রিজিওনের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান।

এর আগে গত ১ ডিসেম্বর ‘ইউনেস্কো এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাওয়ার্ডস ২০২১ সাইকেল ফর কালচারাল হেরিটেজ কনসারভেশন’ পুরস্কার জিতেছে এই মসজিদ। মসজিদটি সংস্কার ও সংরক্ষণের জন্য স্থপতি সাঈদ মোস্তাক আহমেদ ‘দ্য অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট’ পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদই ‘লাল মসজিদ’ নামে এখন বিশ্বজুড়ে পরিচিত। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের পূর্ব পুরুষদের হাত ধরে ১৮৬৮ সালে মসজিদটি নির্মিত হয়। ১৯৬৮ সালে মিনারসহ মসজিদটির বর্ধিতাংশ নির্মাণ করেন নসরুল হামিদের বাবা অধ্যাপক হামিদুর রহমান। কয়েক বছর আগে প্রতিমন্ত্রীর উদ্যোগে দুই গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি সংস্কার করে নতুন রূপ দেয়া হয়। তবে নতুনের স্রোতে ভেসে যায়নি পুরাতন ঐতিহ্য। ধরে রাখা হয় নবাবি আমলের চিহ্ন। চুন-সুরকি দিয়ে নির্মিত মসজিদটি সংস্কারেও ব্যবহার করা হয়েছে একই উপাদান। ২০১৭ সালে স্থপতি আবু সাঈদ এম আহমেদের নেতৃত্বে শুরু হয় সংস্কার কাজ। পুরনো স্থাপনার পাশেই স্থপতি কাশেফ চৌধুরীর নকশায় নির্মাণ করা হয় নতুন আরেকটি ভবন। পুরনোটিতে রাখা হয়েছে লাইব্রেরি এবং মক্তব। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে ঐতিহ্যের বৈচিত্র্য ধরে রাখা হয়েছে।

পছন্দের আরো পোস্ট