বিডিইউ উপাচার্যের সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়।বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখেছে বাঙালি জাতি।আজ (১৬ ডিসেম্বর,২০২১) বৃহস্পতিবার বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ কথা বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুনাজ আহমেদ নূর।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ আশরাফ উদ্দিন, সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট মুহাম্মদ শাহীনূল কবীর, শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ আশরাফুজ্জামান,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামছুদ্দীন আহমেদ,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত)ফারজানা আক্তারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুনাজ আহমেদ নূর বলেন,বাংলাদেশ যেন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে না পারে সেজন্য স্বাধীনতাবিরোধী নরপিচাশরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিলো ২৭৮ ডলার। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মাথাপিছু আয় ২৭৮ ডলার থেকে প্রায় অর্ধেকে নেমে দাঁড়ায় ১৪১ ডলার।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)প্রবৃদ্ধি হয়েছিল স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসন আমলে। ১৯৭৪ সালে দেশের মাথাপিছু জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭.৭ শতাংশ। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তা নিচের দিকে নামতে থাকে। একই ভাবে খাদ্য জ্বালানীসহ সকল খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি তলানিতে নামে।

Post MIddle

তিনি বলেন,১৯৯৬ বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত কাজগুলো শুরু করেন।জাতির পিতার আদর্শকে সামনে রেখে আবার এদেশের জিডিপি’র উত্তরণ ঘটান। ৭২৯ ডলারের জিডিপিকে তিনি ১,৩৬১ ডলারে উন্নীত করেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এই সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য, শিক্ষা,স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ সকল সূচকে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

উপাচার্য বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হারানো হয়। আবার পেছনে ফিরে যায় বাংলাদেশ। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশ আবার পূর্বের খাদ্য ঘাটতি এবং আমদানি নির্ভর অবস্থায় ফিরে যেতে সময় নেয়নি। সাবমেরিন ক্যাবল এদেশে আর স্থাপন করা হয়নি। খাদ্য,জ্বালানী, স্বাস্থ্য, জ্ঞান, প্রযুক্তিসহ সকল সূচকে বাংলাদেশের অবনতি হয়। পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো।

উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুনাজ আহমেদ নূর বলেন,২০০৯ থেকে ২০২১ এই ১২ বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সুযোগ্য নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে ইতিহাসের এক স্বর্ণযুগে।তিনি বাংলাদেশেকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি)থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটিয়েছেন।

এদেশের মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে তাঁর গতিশীল নেতৃত্ব ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে এমডিজি অর্জন,এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা,কৃষি, দারিদ্রসীমা হ্রাস,গড় আয়ু বৃদ্ধি,রপ্তানীমূখী শিল্পায়ন,১০০ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল,পোশাক শিল্প,ঔষধ শিল্প,রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচকের উন্নতি ঘটিয়েছেন।যা বাঙালি হিসেবে আমাদের জন্য গর্বের।

পছন্দের আরো পোস্ট