ইউআইইউতে এওসিএমপির আন্তর্জাতিক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক।

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এশিয়া ওশেনিয়া অঞ্চলের বৃহত্তম সম্মেলন, ২১তম এশিয়া ওশেনিয়া কংগ্রেস অফ মেডিকেল ফিজিক্স (এওসিএমপি-২০২১) শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান গতকাল (১০ ডিসেম্বর) শুক্রবার ইউআইইউ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব জিয়াউল হাসান, এনডিসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সানোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ চিকিৎসা শিক্ষার মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এ কে এইচ এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পিআরএল) ডা. কাজী আনোয়ারুল হক এবং স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের সম্মানিত সভাপতি অধ্যাপক ড. এম ইকবাল আর্সলান।

এওসিএমপি-২০২১ কংগ্রেসের প্যট্টোন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোফিজুর রহমান। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের মেডিকেল ফিজিক্সের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. গোলাম আবু জাকারিয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে প্রথম নির্বাচিত জেনারেল সেক্রেটারী এবং এই সম্মেলনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ডা. হাসিন অনুপমা আজহারী, পরিচালক, সেন্টার ফর বায়োমেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইউআইইউ এবং সম্মেলনের সেক্রেটারী ডা. মোঃ আখতারুজ্জামান, সিনিয়র মেডিকেল ফিজিস্ট, ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল ও স্পেশালিটি সেন্টার, ঢাকা।

Post MIddle

সম্মেলনে বক্তারা জানান, এ বছর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউকে, জার্মানি, ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২৮টি দেশের ১৭০ জনেরও বেশি বক্তা অংশগ্রহণ করেছেন। দেশ-বিদেশের তরুণ চিকিৎসা পদার্থবিদ ও বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য সম্মেলন শেষে এএফওএমপি বেস্ট পিএইচডি অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড, দ্য ইয়াং অ্যাচিভার অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট স্টুডেন্ট পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।

প্রধান অতিথি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে চিকিৎসা পদার্থবিদ্যায় শিক্ষা ও পেশার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। এই মহামারীর মধ্যে আন্তর্জাতিক এই সম্মেলন দেশকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এশিয়ার রোল মডেল এবং মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে এই সম্মেলন আয়োজন করতে পেরে আমরা নিজেদেরকে ধন্য মনে করি”।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তাবৃন্দ, মেডিকেল ফিজিক্স বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, গবেষক, অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

পছন্দের আরো পোস্ট