ঢাবিতে জলবায়ু বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ঢাবি প্রতিনিধি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ Climate Justice and Peace in the Context of Bangladesh ’ শীর্ষক এক সেমিনার আজ (২৫ নভেম্বর ২০২১) বৃহস্পতিবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এই সেমিনার আয়োজন করে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও পররাষ্ট্র সচিব (পশ্চিম) রাষ্ট্রদূত সাব্বির আহমদ চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম সম্মানীয় বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম। প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এন্ড লিবার্টি’র পরিচালক এবং ইউজিসি অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম।

Post MIddle

সেমিনারে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের পরিচিতি তুলে ধরেন ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক হারুন আল রশিদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাঁকে অনুসরণ করে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে দেশের সমৃদ্ধি অর্জন এবং পরিবেশের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমাদের উন্নয়নের চাকা থমকে দিতে পারে। তাই এটি আমাদের জন্য একটি বড় হুমকি। খাদ্য, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে বিশ্বের সকল দেশকেই গুরুত্বসহকারে ভাবতে হবে এবং এই প্রভাব নিরসনে কাজ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী দেশগুলোকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় ভবিষ্যতে মানবসম্পদ ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

পছন্দের আরো পোস্ট