ড্যাফোডিলে দুইহাজার ফ্রি ল্যাপটপ বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।

তথ্য প্রযুক্তির ক্রমবিকাশমান ধারার সাথে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে তুলতে এবং প্রতিযোগীতামূলক চাকরি বাজারে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘একজন ছাত্র একটি ল্যাপটপ’ প্রকল্পের নিয়মিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ২৮তম পর্বে আজ (২২ নভেম্বর ২০২১) সোমবার আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘স্বাধীনতা’ মিলনায়তনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ২০০০টি 10th Generation এর ডিসিএল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক মো. ওমর ফারুক।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মমিনুল হক মজুমদার, একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান।

এ পর্বে ২০০০ ল্যাপটপ বিতরণসহ ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের সহায়তায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১০ সালের সামার সেমিস্টার থেকে এ পর্যন্ত ৪০০০০ ল্যাপটপ বিতরণ করেছে।

Post MIddle

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, একটা সময়ে ব্যবসায় প্রশাসনে ভর্তির ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবল আগ্রহ ছিল। এখন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির দিকে। এটাই যুগের চাহিদা। বর্তমান সময়টাই হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির। তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান ছাড়া এই পৃথিবীতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদেরকে সময়ের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদেরকে ল্যাপটপ দিচ্ছে। এটি এক অভিনব উদ্যোগ।

অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েও এমন উদ্যোগ আছে বলে শুনিনি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদেরকে ল্যাপটপ কেনার জন্য ঋণ দেয়। কিন্তু বিনামূল্যে ল্যাপটপ দেয় বলে জানি না। ড্যাফেডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ উদ্যোগ নজিরবিহীন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ল্যাপটপটিকে জ্ঞানার্জনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। মানুষকে বলা যায় না এমন কোনো কাজ এই ল্যাপটপের মাধ্যমে না করতে তিনি শিক্ষার্থীদেরকে আহ্বান জানান। এসময় তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রশংসা করে বলেন, একটি আধুনিক ক্যাম্পাসের সকল সুযোগ সুবিধা এখানে আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হৃদয় এই ক্যাম্পাসের মতোই সবুজ, নির্মল ও সুবিশাল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার বলেন, বর্তমান পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে দুইটি বিষয়য়ে দক্ষতা অর্জন করা দরকার। একটি হচ্ছে যোগাযোগ দক্ষতা, আরেকটি প্রযুক্তি দক্ষতা। আর এ দুটি দক্ষতা অর্জনের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে ল্যাপটপ। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদেরকে আধুনিক পৃথিবীর উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সেই অস্ত্রই তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে।

এছাড়া ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে ভাষাশিক্ষা ইনস্টিটিউট। এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ইংরেজি, জার্মান, ফ্রেঞ্জসহ পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষা শিখতে পারে। যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ভাষা শিক্ষাটা জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রফেসর ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার বলেন, ভাষা দক্ষতা, একটি ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে পৃথিবীর যে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব।

পছন্দের আরো পোস্ট