পেশা হিসেবে ফার্মাসিস্ট

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর পরই শুরু হয়ে যায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের রেস। অনেকে না বুঝেশুনেই এই রেসে অংশগ্রহণ।পরবর্তীতে বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি ব্যবস্থায় অনেকেই এই রেস থেকে ছিটকে পড়ে। একটু চিন্তাভাবনা করে উচ্চ মাধ্যমিকের পর মনের মতো ক্যারিয়ার গঠনের জন্য কোথায় কোন বিষয়ে ভর্তি হতে হবে, ভর্তির যোগ্যতা, ফলাফল, ভর্তি পরীক্ষা প্রক্রিয়া প্রভৃতি বিষয়গুলো ঠিক করলে তার শিক্ষাগ্রহণ অনেকটা সহজ হয়ে যায়।

আমাদের দেশে বর্তমানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের অসংখ্য বিষয় রয়েছে। এসব বিষয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ শেষে ভালোমানের চাকরির সুযোগও রয়েছে। এমনই একটি বিষয় হচ্ছে “ফার্মাসিস্ট”।

কোথায় পড়বেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে স্নাতক কোর্স চালু রয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও বর্তমানে এই বিষয়টি চালু হয়েছে। ফার্মাসিস্ট হতে হলে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় হতে চার বছর মেয়াদি ফার্মেসি কোর্স (বি ফার্ম) ডিগ্রি সম্পন্ন করতে হবে।

এরপর এক বছর মেয়দি মার্স্টাস (এম ফার্ম) কোর্স করার সুযোগও রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে স্নাতক করার ব্যবস্থা রয়েছে। স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি না নিলে ফার্মেসি কাউন্সিল অব বাংলাদেশ কর্তৃক প্রফেশনাল সনদপত্র পাওয়া যায় না।

বিশেষ যোগ্যতা

Post MIddle

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের যোগ্যতার পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে জীববিজ্ঞানসহ বিজ্ঞান থেকে অবশ্যই ভালো ফলাফল থাকতে হবে।

ফার্মাসিস্টের চাহিদা

ফার্মাসিস্ট হিসেবে চাকরিতে যোগদানের আগে চার বছর মেয়াদি বি ফার্ম শেষে যেকোনো ওষুধ প্রস্তুত ও বিপণনকারী কোম্পানিতে এক মাসের ইন্টার্নি সম্পন্ন করতে হয়। এরপর যাচাই পরীক্ষায় যোগ্যরাই চাকরির জন্য বিবেচিত হন।

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ২ শতাধিকের উপরে ওষুধ প্রস্তুত ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মূল চালিকা শক্তি ফার্মাসিস্টরা।প্রোডাকশন,প্রোডাক্ট ম্যানেজম্যান্ট,প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, ট্রেনিংসহ বিভিন্ন বিভাগে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের চাহিদা রয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরে চাকরির সুযোগ তো রয়েছেই।

ফার্মাসিস্টদের কাজ:

ঔষধ গবেষণা, প্রস্তুত, মান নিয়ন্ত্রণ, সংরক্ষণ, সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, বিপনণসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজ। বেসরকারি হাসপাতালে ও ক্লিনিকে ফার্মাসিস্ট পদে, ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট, ফার্মেসি ম্যানাজার ছাড়াও প্রশাসনিক ও তথ্য বিভাগে এদের কাজের সুযোগ রয়েছে।

সরকারি অফিসগুলোর মধ্যে কমিউনিটি স্বাস্থ্য সেবা, আর্মড ফোর্সেস, সরকারি হাসপাতাল, ঔষধ প্রশাসনসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন উচ্চ পদে ফার্মাসিস্টরা চাকরি পেতে পারে।

পছন্দের আরো পোস্ট