বঙ্গবন্ধু চেয়ারের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে চবিতে মতবিনিময়
চবি প্রতিনিধি।
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ এর উদ্যোগে আগামী এক বছরের প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এক মতবিনিময় সভা আজ (৭ নভেম্বর ২০২১) রবিবার চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভার শুরুতে চবি ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন প্রাথমিক এ কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। এ সময় চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ও চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে উপস্থিত ছিলেন।
চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় চবি বিভিন্ন অনুষদের প্রতিনিধিবৃন্দ, আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল হোসাইন, কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, চবি জাদুঘরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক, আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ, বিশিষ্ট অধ্যাপক ও গবেষক ড. নাসির উদ্দিন, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. মুনতাসির মামুনসহ উপস্থিত সকলকে স্বাগত ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের পদচারণায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে উঠেছে। এ প্রাণচাঞ্চল্য অব্যাহত রাখতে এবং প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীদের ক্লাসমুখী করা সহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরার ব্যাপারে প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন যে কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মর্মে উপাচার্য প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি নির্দিষ্ট মানে উন্নীত করতে হলে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে নিয়মিত সেমিনার-সিম্পোজিয়াম-কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারণ করতে হবে।
প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন এর উপস্থাপিত আগামী এক বছরের কর্মপরিকল্পনায় বিজ্ঞ আলোচকবৃন্দ তাঁদের সারগর্ভ আলোচনা ও সুপারিশের মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে সক্ষম হবে মর্মে মাননীয় উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।