“আইনজীবীদের সারাজীবন পড়তে হয়” অ্যাটর্নি জেনারেল

নিজস্ব প্রতিবেদক।

বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় পাশ করা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ৬০জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ। আজ শনিবার (৬ নভেম্বর) আশুলিয়ার ড্যাফেডিল স্মার্ট সিটিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে এক জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোর্শেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ এবং কাস্টমস কমিশনার বেলাল চৌধূরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী এ কে এম ফললুল হক, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ এম এম হামিদুর রহমান, অ্যাকাডেমিক অ্যফেয়ার্সের ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তাফা কামাল, সহযোগী ডিন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব, আইন বিভাগের প্রধান ড. কুদরাত ই খুদা বাবুসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আপনারা যারা পাশ করে বের হলেন তারা প্রত্যেকেই ভালো আইনজীবী হবেন তাতে সন্দেহ নেই। কারণ এবারের পরীক্ষা অন্যান্য যেকোনো সময়ের চেয়ে কঠিন হয়েছে। আপনারা এ কঠিন পরীক্ষায় পাশ করেছেন, সুতরাং আপনারা মেধাবী তাতে সন্দেহ নেই।

অ্যাডভোকেটদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় পাশ করেছেন বলে পড়াশোনা শেষ হয়ে গেছে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। আইনজীবীদের সারাজীবন পড়তে হয়। যত পড়বেন তত ভালো আইনজীবী হবেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশে এমন সুন্দর ক্যাম্পাস আছে তা আমার ধারনাতেও ছিল না।ক্যাম্পাস দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। বিদেশের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসের সঙ্গে তুলনা করা যায় এই ক্যাম্পাসের।

Post MIddle

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোর্শেদ বলেন, আপনারা অ্যাকাডেমিক পড়াশোনায় সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এখন সময় প্র্যাকটিক্যাল ফিল্ডে কাজ করার। এখানে হাতে কলমে শিখে দক্ষ হতে হয়। এজন্য প্রচুর ধৈর্য, পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। তিনি সদ্য অ্যাডভোকেট হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আপনারাই একদিন দেশের বিচারক, প্রধান বিচারক, অ্যাটর্নি জেনারেল হবেন। দরকার শুধু লক্ষ্য ঠিক রেখে এগিয়ে যাওয়া।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, জীবন কুসুমাস্তীর্ণ নয়। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে জীবনে সফল হতে হয়। আপনারও নিশ্চয় অনেক ত্যাগ ও পরিশ্রমের বিনিময়ে অ্যাডভোকেট হয়েছেন। আপনাদেরকে অভিনন্দন। তিনি নবীন অ্যাডভোকেটদেরকে জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেটদের অধীনে থেকে কাজ শেখার পরামর্শ দেন।

ড. মো. সবুর খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, মহামারি করোনা দেখিয়ে দিয়েছে যে প্রযুক্তির উপর নির্ভর করা ছাড়া উপায় নেই। করোনার পুরোটা সময় ভার্চুয়াল কোর্ট চালু ছিল। প্রযুক্তির কল্যাণেই এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ড্যাফেডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি একটি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুরু থেকেই প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে ওঠে। যারা সদ্য অ্যাডভোকেট হয়েছে তারা প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আরও ভালো আইনজীবী হবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

পছন্দের আরো পোস্ট