ড. আবুল আহসান চৌধুরী পাচ্ছেন লালন সম্মাননা

বাংলা একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন প্রফেসর, বিশিষ্ট লালন গবেষক ড. আবুল আহসান চৌধুরী “লালন গবেষণায় তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ লালন সম্মাননা ২০২১” পেতে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তাঁকে এ সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় লালন সাঁই-এর ১৩১তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বাউলকুঞ্জে আয়োজিত লালন স্মরণোৎসবে তাঁকে এ সম্মাননা প্রদান করা হবে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ২০১১ সাল হতে মহাত্মা লালন ফকিরের জীবন-দর্শন, মানবতাবাদ এবং ভাববাণী প্রসারে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। তারই ধরাবাহিকতায় এবছর লালন গবেষণায় তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ড. আবুল আহসান চৌধুরীকে লালন সম্মাননা ২০২১ প্রদান করা হবে।

Post MIddle

ড. আবুল আহসান চৌধুরী মূলত একজন প্রাবন্ধিক ও গবেষক। তিনি সমাজমনস্ক ও ঐতিহ্যসন্ধানী মানুষ। তাঁর চর্চা ও গবেষণার বিষয় ফোকলোর, উনিশ শতকের সমাজ ও সাহিত্য, সাময়িকপত্র, আধুনিক সাহিত্য ও আঞ্চলিক ইতিহাস। অনুসন্ধিৎসু এই গবেষক সাহিত্যের নানা দুস্প্রাপ্য ও বিলুপ্তপ্রায় উপকরণ সংগ্রহ করে ব্যবহার করেছেন। তাঁর লালন সাঁই, কাঙাল হরিনাথ ও মীর মশাররফ হোসেন বিষয়ক গবেষণা-কাজ দেশে-বিদেশে সমাদৃত হয়েছে।

ড. আবুল আহসান চৌধুরীর জন্ম লালনের দেশ কুষ্টিয়ার মজমপুরে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১২৫টি। লালন ও অনুষঙ্গী বিষয়ে দুই বাংলা থেকেই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বই-সেই সংখ্যা প্রায় ত্রিশ এর কাছাকাছি।

তিনি তানভীর মোকাম্মেলের ‘লালন’ (২০০৪) ও গৌতম ঘোষের ‘মনের মানুষ’ চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ড. আবুল আহসান চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লালনমেলা সমিতির লালন পুরস্কার (২০০০), বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (কলকাতা, ২০০৮) এবং গবেষণায় বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (২০০৯) এ ভূষিত হয়েছেন। ড. আবুল আহসান চৌধুরীর নাম লালন চর্চার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরিসরেও বিশেষ পরিচিত।

পছন্দের আরো পোস্ট