প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘দেশের সামরিকশাসন ও অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মূলোৎপাটন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন। কিন্তু ওইসময়ে বঙ্গবন্ধুর দুইকন্যা বেলজিয়ামে থাকায় তারা বেঁচে যান।

নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা ১৯৮১ সালের বৃষ্টিস্নাত দিনে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সামিল হন। এর ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে দেশ থেকে সামরিক শাসন ও অগণতান্ত্রিক ধারা বিদায় নেয়।’

সোমবার রাতে (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কর্মময় জীবন শীর্ষক আলোচনা সভা, কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এক বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।

Post MIddle

শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘তোমরা যারা আজকে শিশু, কিশোর ও তরুণ রয়েছো তারা যে তথ্য-প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখছো, এই স্বদেশ তো এমন ছিল না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এদেশের মানুষকে যেভাবে হৃদয় নিংড়ানো মায়া দিয়ে ভালোবেসেছেন সেই ঋণ আমরা কোথায় রাখলাম।

তিনি তো স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করতে পারলেন না। ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে তিনি নিহত হলেন। সেই থেকে নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তোমরা আজকে সেটিই দেখছো। কিন্তু এর পেছনে যে লড়াই-সংগ্রাম এবং ত্যাগের ইতিহাস রয়েছে সেটিও তোমাদের জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে আগামীর কাক্সিক্ষত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।’

বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শিরিন আক্তার মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, বক্তব্য প্রদান করেন মনোরঞ্জন গোপাল এমপি প্রমুখ।

পছন্দের আরো পোস্ট