স্বপ্ন দিয়ে গাঁথা অনলাইন ‘ড্রিম স্কুল’

নিজস্ব প্রতিবেদক।

সেই ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত রূপকথা শুনলে উপসংহারে এইটাই বলতাম ‘ইশসস!… যদি এমনটা হতো!’আসলেই গল্পগুলো বাস্তব জীবনকেও হার মানিয়ে একদম স্বপ্নের জগতে পেখম মেলিয়ে দেয় আমাদের মনকে। স্কুলের কখনো গল্প-গানের পিরিয়ড, ক্লাসের ফাকে দুষ্টুমি কিংবা টিফিন টাইমে দৌড়ঝাপ করা- সবগুলোই প্রিয়র খাতায় নাম লিখিয়ে দেয়, যেনো রূপকথার একটুখানি ঝিলিক। অনলাইনের পরিক্রমায় স্কুলজীবন থেমে গেলেও, হারিয়ে যাইনি আমরা। সেইসব সুখস্মৃতি গুলো ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টাই, আমাদের সোনামনিদের জন্যে এনেছি ‘ড্রিম স্কুল’নামের স্বপ্ন দিয়ে গাঁথা একটি অনলাইন স্কুল।

ড্রিম স্কুল, বাংলায় অর্থ স্বপ্নের বিদ্যালয়। যেখানে বাচ্চারা মজায় মজায় শিখবে নতুন কিছু। লেখা-পড়ার যে গদবাধা নিয়ম আছে সেটাকে মিশিয়ে কিভাবে আরো প্রাণবন্ত করে আমাদের বাচ্চাদের শেখানো যায় সেটাই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য। এটি মূলত প্রি-স্কুল, গতবছর যে বাচ্চাটার বয়স চার ছিল সে এবার পাঁচে পড়েছে কিন্তু করোনাকালীন সময়ে বাচ্চারা স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি কিন্তু তারা যেন কোনোভাবেই শিক্ষায় পিছিয়ে না পড়ে সেজন্যেই এমন একটি প্রস্তাবের বাস্তবায়ন।

২০২১ সালের মে মাসে গুটিকয়েক শিক্ষার্থী নিয়ে এই স্কুল সর্বপ্রথম অনলাইনে যাত্রা শুরু করে। এমন মহৎ উদ্যােগকে বাস্তবরুপ দান করতে কাজ করেন ভ্রাতৃদ্বয় জনাব শামীম রহমান এবং জনাব এজাজ উর রহমান এবং শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন জনাবা সাদিয়া আফ্রিন লিসা এবং জনাবা আয়েশা আক্তার আশা।

 তাহলে কি স্কুলটি শুধু মাত্র দুইজন ব্যক্তিত্বের দ্বারাই পরিচালিত! আর কেউ নেই!! হ্যা,  ড্রিম স্কুল এর সকল কাজ বাস্তবায়নে কাজ করছে ১০-১৫ জনের একটি ডেডিকেটেড টিম।

এখানে একটা মজার ব্যাপার হলো, আমরা শিক্ষকদের ‘কোচ’ বলে সম্বোধন করি। শিক্ষক আর কোচের মধ্যে পার্থক্য হলো, শিক্ষকেরা তার ছাত্রদের ব্যার্থতার দায়ভার নেয় না কিন্তু কোচেরা নেয়। আমরা ক্লাসের প্রতিটা বাচ্চাদের সফলতার পাশাপাশি ব্যার্থতাকে ও সেলিব্রেট করি কারণ আমরা জানি ‘Failure is the piller of success’।

তো এত বড় দায়িত্বের পেছনে নিশ্চয়ই এক দুইজন কাজ করে না। আমাদের আছে পনেরো-বিশ জনের একটি ডেডিকেটেড টিম। স্কুলের ‘সুখের বাক্স’ থেকে শুরু করে ক্লাসের ‘ম্যাজিক’ পর্যন্ত রয়েছে এই টিমের প্রতিটা মানুষের নিরলস শ্রম। সুখের বাক্স শব্দটা শুনলেই একটা সুখ-সুখ অনুভূতি আসে মনে,আমরা এই সুখের বাক্সর মাদ্ধমে সোনামনিদের পরাশুনার যাবতীয় এলিমেন্ট ক্লাস শুরুর আগেই পৌঁছে দিয়ে থাকি। বাচ্চাদের জন্য মজাদার কন্টেন্ট, কন্টেস্ট এবং নানান উপভোগ্য সামগ্রীর সমন্বয়ে প্রতিটা ক্লাসের আয়োজন করা হয়। এই তো ২৭ আগষ্টই আমাদের চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা হয়ে গেলো যেখানে আমাদের ছোট্ট সোনামনিরা তাদের বেষ্ট পারফর্ম্যান্স দিয়েছে। দেশের একঝাঁক সোনামুখ গুলোর সাথে যুক্ত হয়েছিলেন ফ্রান্স এবং লন্ডন থেকেও একধিক বাচ্চা। নেক্সটে আরো এক্সাইটিং অনেক কন্টেস্ট আনবো আমরা।

চলুন তাহলে কথা বলা যাক  অভিভাবকদের সাথে যারা তাদের সন্তানকে প্রি স্কুলিং প্রোগ্রামে যুক্ত করেছেনঃ

  • যখন তার ক্লাস থাকে না তখন সে তার ক্লাসকে মিস করে এবং ক্লাস থাকার দিনগুলোতে ক্লাসের জন্য অপেক্ষা করে”
  • আগে তার পড়ার প্রতি কোনো ধারাবাহিকতা ছিল না। কিন্তু এখন সে নিয়মিত পড়তে বসে। তার মাঝে ধারাবাহিকতা এসেছে”
  • এখন তার বয়স কম, কিন্তু তবুও সে আগ্রহ নিয়ে পড়তে বসে। বর্ণমালা প্র্যাকটিস করে। আর এটা সম্ভব হয়েছে তার অদম্য ইচ্ছা এবং আপনাদের সহযোগিতার জন্য”
  • আমাদের ক্লাসের চঞ্চলতার শীর্ষে থাকা আয়মানের আম্মু মিসেস কোহিনুর সিদ্দিকা ম্যাম জানান “আপনাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা অন্যান্যদের থেকে যথেষ্ঠ আলাদা এবং সুন্দর, যার ফলে বাচ্চাদের পড়াটুকু বুঝতে খুব সুবিধা হয়।”

এমন ভাবেই মাত্র একমাসের ব্যবধানে ড্রিম স্কুল সম্ভব করেছে অভিভাবকদের চিন্তা মুক্ত করতে। এছাড়া তারা আরও বেশি সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে তাদের শিখন পদ্ধতিতে। এভাবেই হাতেখড়ি হয়েছে ড্রিম স্কুলের ৩-৬ বছরের বাচ্চাদের।

দেশের ট্র্যাডিশনাল শিক্ষা-ব্যাবস্থায় একটু পরিবর্তন এনে পৃথিবীর বেষ্ট লার্নিং ট্যাকটিক্সগুলো দেশীয় কনটেক্সটে খাটিয়ে বাচ্চাদের মাঝে সেরা শিক্ষা তুলে দেয়াই ড্রিম স্কুলের কাজ। সপ্তাহে ৩ দিন ক্লাস আর টোটাল কোর্সের ব্যাপ্তি হলো ৪ মাস। নিজেদের কিছু ইনোভেশন যোগে গ্রোথ মাইন্ডসেটকে উপস্থাপন করে বাচ্চাদের ব্রেইন ডেভলোপমেন্ট নিয়েও কাজ করা হয় ড্রিমস্কুলে। কারণ আমরা জানি মানবঅঙ্গের মধ্যে শেখার মাধ্যমে কেবল ব্রেইনের উন্নতিই হয়। ব্রেইনকে জানা, ব্রেইনকে যত্ন করা এবং ব্রেইনকে বুষ্ট করাকে লক্ষ্য করেই আমাদের স্কুলের প্রতিটা লেসন, এক্টিভিটিস কিংবা ক্লাস সম্পন্ন করা হয়।

আপনি যদি আপনার সন্তানের প্রি-স্কুলিং নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় থাকেন,তবে ড্রিম স্কুলই আপনার জন্য সর্বোপযোগী সমাধান।

অনলাইন ‘ড্রিম স্কুল’

পছন্দের আরো পোস্ট