যুক্তরাজ্যের শেভেনিং স্কলারশিপ পেতে

ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত অন্যতম গ্লোবাল স্কলারশিপ প্রোগ্রাম হলো ‘শেভেনিং স্কলারশিপ’। যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে আগ্রহী ১৩০ এরও অধিক দেশের প্রায় ১ হাজার মেধাবী শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়।

এই বৃত্তির আওতায় যুক্তরাজ্যের একটি নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর করার সুযোগ পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দেওয়া হয়। বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দক্ষতা, নেতৃত্বদানের অভিজ্ঞতা, নিজের দেশ ও সমাজের ওপর ইতিবাচক মনোভাবের ওপর বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বৃত্তির মাধ্যমে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে শিক্ষার্থীদের দুই বছর কাজের অঙ্গীকার করতে হয়।

Post MIddle

যেসব সুবিধা থাকবে
১। টিউশন ফিসহ যাবতীয় একাডেমিক ফি
২। মাসিক উপবৃত্তি
৩। আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়া
৪। ওয়ান-অফ ভাতা
৫। ভ্রমণ অ্যালায়েন্স

আবেদনে যে যোগ্যতা লাগবে:
শেভেনিং কর্তৃপক্ষ বৃত্তির আবেদনের জন্য যোগ্যতা হিসেবে পড়াশোনাকে বেশ গুরুত্ব দেয়। স্নাতক পর্যায়ে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণির ডিগ্রি থাকতে হবে। বৃত্তির জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম দুই বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। একই সঙ্গে আইইএলটিএসে ন্যূনতম ৬.৫ স্কোর থাকতে হবে।

আবেদনের প্রক্রিয়া
প্রথমেই যুক্তরাজ্যের পছন্দসই বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কোর্সে আবেদন করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন ইংরেজি ভাষায় দুটি রেফারেন্স লেটার, পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র এবং সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানের সনদ। বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ভর্তির ‘অফার লেটার’ আবেদনপত্রে সংযুক্ত করতে হবে। প্রাথমিক নির্বাচনে টিকে গেলে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনে যেতে হবে।

পছন্দের আরো পোস্ট