ড্যাফোডিল ক্যাম্পাসে পাইলট ট্রেনিং-৬ এয়ারক্রাফট

নিজস্ব প্রতিবেদক।

শিক্ষার্থীদের বিমান প্রযুক্তি ও অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে সরাসরি সম্পৃত্ত করতে ক্যাম্পাসে ‘পাইলট ট্রেনিং-৬ এয়ারক্রাফট’ স্থাপন করলো ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

বিমান প্রযুক্তি ও অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর নানা উপকরণের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সরাসরি পরিচয় করিয়ে দিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তাদের ক্যাম্পাসে স্থাপন করেছে ‘পাইলট ট্রেনিং-৬ এয়ারক্রাফট’ নামের একটি প্রশিক্ষণ বিমান। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক জ্ঞান বিকাশে আরেকটি নতুন অধ্যায়ের সংযোজন ঘটল। বিমানটি আশুলিয়ার ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে অবস্থিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের ‘মুক্ত আকাশ’ চত্ত্বরে স্থাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ জুন) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিমানটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদ্যবিদায়ী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মশিউজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি।

এসময় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, ট্রেজারার মোঃ মমিনুল হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক, পরিচালক (প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট) মেজর আরমান আলী ভূঁইয়া (অবঃ), পিইএনজি, বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

Post MIddle

উদ্বোধনকালে মার্শাল মশিউজ্জামান সেরনিয়াবাত বলেন, বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সামনে প্রদর্শনের জন্য এয়ারক্রাফ্ট আছে বলে আমার জানা নেই। এটি একটি অভূতপূর্ব সংযোজন। এই এয়ারক্রাফ্ট স্থাপনের মাধ্যমে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদেরকে অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এটি শুধু ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যই বর্ধন করেনি বরং এটি শিক্ষার্থীদের কৌতুহলকেও উসকে দেবে। তারা বিমান প্রযুক্তি, অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদির ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠবে। তিনি আরও বলেন, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে সরাসরি জ্ঞান লাভের যে সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে, তা কাজে লাগিয়ে তারা একদিন নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রে বিচরণ করবে।

ড. মো. সবুর খান বলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এয়াক্রাফট স্থাপিত হলো। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিমানের খুটিনাটি সম্পর্কে সরাসরি জ্ঞান লাভ করতে পারবে। এসময় তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তারা অকুণ্ঠ সহযোগিতা করেছে বলেই বিমানটি ক্যাম্পাসে স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।

ক্যাম্পাসের এই মুক্ত আকাশ চত্ত্বরে ক্রমান্বয়ে আরও নানা উপকরণ আনা হবে বলে জানান ড. মো. সবুর খান। তিনি বলেন, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় গতানুগতিক শিক্ষা প্রদানে বিশ্বাসী নয়। শিক্ষার্থীরা যাতে হাতে কলমে শিখতে পারে এবং সরাসরি প্রযুক্তির জ্ঞান নিতে পারে তার সব ব্যবস্থা ক্যাম্পাসে করা হবে।

উল্লেখ্য, প্রশিক্ষণ বিমানটি যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে আনা হয়েছে।

পছন্দের আরো পোস্ট