জবির ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের দ্বায়িত্বে জুনায়েদ হালিম
জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভাগের অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিমকে পুনরায় নিযুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের অনুমোদনক্রমে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমদ হালিম এর নিযুক্তির মেয়াদ আগামি ১৪ জুন পূর্ণ হবে বিধায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ২০০৫ এর ২৪(২) ধারা অনুযায়ী তাকে পুনরায় ০৩ (তিন) বছরের জন্য ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হলো। নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বিধি মোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।
ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগে আর কোনো অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপক না থাকায় তিনি পুনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন বলে বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়। বিভাগটি একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর প্রথম থেকেই তিনি এ পদে রয়েছেন। এ বিভাগে প্রথম ব্যাচ থেকে শুরু করে পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম বলেন, দেশে চলচ্চিত্রের উপর উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্র কম। মাত্র তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্রের বিভাগ রয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ অনেক নবীন। অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও এগিয়ে চলছে। তবে সিনেমা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিকমানের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার স্বপ্ন আছে বলে জানান তিনি। এতে চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীদের উপকারে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একমাত্র শিক্ষক যিনি তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯ এ শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর আগে ২০০৪ সালে ‘শঙ্খনাদ’ ও ২০০৯ সালে ‘বৃত্তের বাইরে’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদক হিসেবে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
জুনায়েদ হালিম ১৯৮৬ সালে ‘ঢাকা টোকাই’ এর মাধ্যমে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। তিনবার জাতীয় পুরস্কার পাওয়াসহ তার সম্পাদনায় ১৯৯৭ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের অনেক সিনেমা দেশে-বিদেশে নানা ধরনের স্বীকৃতি ও পুরস্কার লাভ করে। পেয়েছেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।
‘ইয়ে ও সেহেরতো নেহি’ সম্পাদনার জন্য ১৯৯৬ সালে শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে ভারতের জাতীয় পুরস্কার পান তিনি। এটি ছিল তার ডিপ্লোমা ফিল্ম। এছাড়া ‘নিরন্তর’ চলচ্চিত্রের জন্য ২০০৬ সালে ভারতের গোয়াতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-ভারত এ স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড ও একই সিনেমায় একই সালে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব কেরালায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
এছাড়া ২০০৭ সালে ‘স্বপ্নডানায়’ চলচ্চিত্র সাংহাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ও ২০০৮ সালে ‘রূপান্তরর’ চলচ্চিত্র ভারতে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কার লাভ করে।