গ্লোবাল মানি উইক-২০২১ পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক।

শিশু ও তরুণ প্রজন্মকে সঞ্চয়ী হতে উদ্ধুদ্ধ করতে এবং মাসসিকভাবে সঞ্চয়ী মনোবৃত্তি বিকাশের পাশাপাশি বার্ষিক অর্থনৈতিক সচেতনতামূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে করোনা পরিস্থিতিকে বিশেষ বিচেনায় নিয়ে সীমিত পরিসরে বাংলাদেশে গ্লোবাল মানি উইক পালিত হয়েছে।

বর্তমান করোনাকালে সুস্থ থাকা নিশ্চিত এবং আর্থিক স্তিতিস্থাপকতা নির্মাণকে গুরুত্ব দিয়ে এবারের ‘গ্লোবাল মানি উইক ২০২১’ এর প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে “নিজের যতœ নিন, নিজের অর্থের যতœ নিন”।

গ্লোবাল মানি উইকের বিশ্ব আযোজক ওইসিডি ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক অন ফিন্যানসিয়াল এডুকেশন (ঙঊঈউ/ওঘঋঊ)। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ স্কিলস ডেভেলাপমেন্ট ইন্সটিটিউট (বিএসডিআই) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের ১৯০ টি দেশের সাথে বাংলাদেশে ‘গ্লোবাল মানি উইক ২০২১’ পালিত হয়েছে।

রবিবার (২৮ মার্চ) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উদ্যেগে ভার্চূয়াল প্লাটফর্মে “নিজের যতœ নিন, নিজের অর্থের যতœ নিন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির (বিডিইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যানসিয়াল ইনক্লুশান ডিপার্টমেন্টের যুগ্ম পরিচালক শাহানাজ পারভীন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আবদুন নূর তুষার, ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরীক্ষা সেবা বিভাগের বিজনেস ডেভেলাপমেন্ট এর প্রধান সারওয়াত রেজা ও ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস্ কাউন্সিল ফর টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি এর সেক্রেটারি জেনালের রুবিনা হোসেন ফারুক।

Post MIddle

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব-উল হক মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তাবৃত্তি বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। সেশানটি মডারেট করেন বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলাপমেন্ট ইন্সিটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক কে এম হাসান রিপন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমাদের সন্তানদেরকে সঞ্চয়ের মানসিকতা নিয়ে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার আর্থিক কারণে হুমকির মধ্যে পড়বে না। গ্লোবাল মানি উইক উদযাপন কিশোর তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে সঞ্চয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির (বিডিইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, আমাদের শিশু কিশোরদের মাঝে জাগতিক আর্থিক বিষয়াদির স্মার্ট বিনিয়োগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরী ও অনুপ্রাণিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যানসিয়াল ইনক্লুশান ডিপার্টমেন্টের যুগ্ম পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন, বাংলাদেশে স্কুল ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং জনপ্রিয় হচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক মিলিয়ে ১৮ লাখ স্কুল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট রয়েছে যেখানে ১৯৫১ কোটি টাকা সঞ্চিত রয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব –উল হক মজুমদার বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন স্কুল ব্যাংকিংয়ের কোনো সুযোগ ছিল না। আর এখন স্কুল ব্যাংকিং কিশোর ও তরুণ শিক্ষার্থীদের সামনে বিরাট সুযোগ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

তার পাশাপাশি প্রতিটি তরুন-তরুনীর হাতে রয়েছে স্মার্ট ফোন যার মাধ্যমে অবারিত তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সমগ্র পৃথিবীর মানুষের সাথে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সম্ভব আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষার্থীই স্বাবলম্বী হয়েছে। অনেকে উদ্যোক্তা হয়েছে। সুতরাং প্রতিটি শিক্ষার্থীকে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সঞ্চয়ী করে তোলার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ।

পছন্দের আরো পোস্ট