চুয়েটে মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

চুয়েট প্রতিনিধি।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ জমকালো আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২১ এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূতি উপলক্ষ্যে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গত (২৬ মার্চ) শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

এ সময় মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) জনাব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সাথে ছিলেন। পরে ডীন মহোদয়গণ, বিভিন্ন ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান ও সেন্টার চেয়ারম্যান, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও হল প্রভোস্টগণ, শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

Post MIddle

এরপর টিএসসি মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। চুয়েটে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহম্মদ ও মুজিব বর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব শ্রী কানু কুমার দাশ, প্রভোস্টগণের পক্ষে শহীদ তারেক হুদা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এম.কে. জিয়াউল হায়দার, চুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. সানাউল রাব্বী, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব আমিন মোহাম্মদ মুসা, স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব মো. জামাল উদ্দীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মানবিক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান এবং উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “প্রতিবছর আমরা স্বাধীনতা দিবস পালন করলেও এবারের আবহটা ভিন্ন, তাৎপর্যও অনেক। আজ আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। বিষয়টি বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের। একটি পিছিয়ে ও শোষিত জনগোষ্ঠীকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে একটি মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভ করেছে। তাই আজকের এই গৌরবোজ্জ্বল দিনে আমাদের শপথ হোক ২০৪১ সনের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সম্মৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা একযোগে কাজ করবো। সেক্ষেত্রে চুয়েটকে একটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখতে হবে।”

আলোচনা সভা শেষে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ৫০ পাউন্ডের কেক কাটা হয়। পরে চুয়েটের শহীদদের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন, বিকালে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ছাত্রকল্যাণ দপ্তর একাদশ বনাম স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটি একাদশের মধ্যে সীমিত ওভারের প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ এবং সন্ধ্যায় স্বাধীনতা চত্ত্বরে জমকালো আতশবাজি উৎসবের আয়োজন করা হয়।

পছন্দের আরো পোস্ট