ক্যাম্পাসে ফেরার অপেক্ষায়

রুকাইয়া মিজান মিমি।

এগারো মাস হতে চললো, ক্যাম্পাস স্মৃতিগুলো যেন আরো বেশি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। কখনো মনে পরে ভার্সিটি বাসের কথা! হয়তো এই একটি বাসেই কেবল ড্রাইভার, সুপারভাইজার, সিনিয়র-জুনিয়রের ভালোবাসা, আবেগ, খুনসুটি মিশে আছে। কখনো বা ডিপার্টমেন্ট বিল্ডিং এর সামনের কাঁঠালতলাটির কথা মনে পড়ছে! ক্লাসের ফাঁকে সেই গাছটির নিচে বসে যখন আমরা হাসি-আনন্দমাখা গল্পে ব্যস্ত ঠিক তখনই বোটানিক্যাল গার্ডেনের ফুলগুলো এই খুশির টানেই হয়তো ঝলকে উঠতো!

ক্লাস, এ্যাসাইনমেন্ট, পরীক্ষা এতো-এতো চাপে মাথাটা ধরে আসলে ক্যাফেটেরিয়া/টিএসসির এক কাপ চায়ের চুমুকে মুহূর্তেই বুঝি সব ক্লান্তির অবসান ঘটতো! শহিদ মিনার, শান্ত্বচত্বরেও কম স্মৃতি জড়িয়ে নেই! সকাল-বিকাল বন্ধুদের আড্ডায় সেখানে বসতাম, পাশ থেকে ভেসে আসত গানপ্রেমীদের গিটারের টুংটাং শব্দ; গানের কলি, কত মধুর ছিল সেই দিনগুলি! আবার গণলাইব্রেরি/সেমিনারে বইপ্রেমিকদের দেখে নিজেরও নিত্য নতুন বই পড়তে ইচ্ছে হতো।

Post MIddle

হঠাৎ এই করোনা যেন বদলে দিলো সবটা! আমরা চার দেয়ালে আটকে পড়লাম। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আজ অনলাইন ক্লাস করতে-করতে দম আটকে আসছে। বাড়ছে সেশনজট-পরীক্ষার চাপ, ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা! এদিকে ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্কটাও যেন ফোনের ফ্রেমে বন্দী হয়েছে, যান্ত্রিকতা নামছে আমাদের মাঝে।

আর সবকিছু ঠিকঠাক চললেও শুধু আমাদেরই প্রিয় ক্যাম্পাসটির এর সাথে দেখা হচ্ছে না। তাই স্মৃতিচারণা আর বাস্তবতার চাপ দূর করতে খুব দ্রুত ক্যাম্পাসে ফিরতে মন চায়। মন চায় ঠিক আগের মত চঞ্চল এই আমি প্রাণের ক্যাম্পাসটির গানের পাখি হবো!

পছন্দের আরো পোস্ট