খুবির দুই শিক্ষার্থীর অনশন ভঙ্গ

খুবি প্রতিনিধি।

গত কয়েকদিন ধরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা বোর্ড প্রদত্ত শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি পালন করে। শিক্ষার্থীদ্বয় তাদের ভুল অনুধাবন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে পত্র দেওয়ার পর সংকট নিরসনের পথ সুগম হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের মধ্যস্থতায় রাত ৮ টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান শরবত পান করিয়ে দুই শিক্ষার্থীর অনশন ভঙ্গ করান।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার, ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক এবং সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Post MIddle

উপাচার্য বলেন, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে শৃঙ্খলা বোর্ডের সভা ডেকে দুই শিক্ষার্থীর আবেদনের বিষয়টি উপস্থাপন এবং সেখানে সর্বোচ্চ সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। অনশন ভঙ্গ করানোর প্রাক্কালে উপাচার্য বলেন, শিক্ষকরা কখনোই শিক্ষার্থীদের অমঙ্গল চান না। তাঁরা কেবল শিক্ষক নন, শিক্ষার্থীর অভিভাবক। শিক্ষার্থীরা কোনো ভুল করতে পারে। তবে তারা দুঃখ বা ক্ষমা প্রকাশ করলেই শিক্ষক বা অভিভাবক নমনীয় হন। তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি পিতা-মাতা ও শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর আহবান জানান। তাহলে তারা জীবনে সফল হতে পারবে বলে উল্লেখ করেন।

গত কয়েক দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভুত পরিস্থিতির অবসানে খুলনাবাসীর অভিভাবক কেসিসির মেয়র সর্বজনশ্রদ্ধেয় তালুকদার আব্দুল খালেক স্ব-উদ্যোগে ক্যাম্পাসে এসে সংকট নিরসনের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি যে ভালোবাসা ও সহানুভূতি দেখিয়েছেন তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

একই সাথে তিনি কেসিসির ডেপুটি মেয়র মোঃ আলী আকবর টিপু, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তর, শিক্ষকবৃন্দ, অ্যালামনাইবৃন্দ, সুশীল সমাজের বিবেকবান মানুষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরীসহ সকলকে সংকটকালে উপস্থিত থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

পছন্দের আরো পোস্ট