জাবি ইংরেজি বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধন

জাবি প্রতিনিধি।

গতকাল রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তীর বর্ষব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী ভাষণে উপাচার্য বলেন, আমাদের আশা ছিলো মহাআড়ম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো। কিন্তু মহামারী করোনার কারণে আমরা সীমিত আকারে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০-তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছি। তবে আমাদের আয়োজন সীমিত হলেও তাতে প্রাণের ছোঁয়া আছে। অনলাইনের সুযোগে আমরা দূরে থেকেও কাছে আছি। এই অভিনব মিলনক্ষণে আমরা যেনো মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভুলে না যাই।

Post MIddle

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন যে, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ ইংরেজি ভাষায় বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের কথা বিশ্বদরবারে উপস্থাপন করবেন। আমি মনে করি আপনারা উন্নয়ন ও প্রগতির পাশাপাশি মেধা-মননের উৎকর্ষ সাধনে মনোযোগী হবেন। তিনি বলেন, ইংরেজি বিভাগ বর্ষব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছে। মহামারী থাকাকালীন এভাবেই আমরা একে অপরের কাছে উদ্ভাসিত ও স্মরণীয় হবো।

আবেগ ও উচ্ছ্বাসমুখর এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলা ও মানবিকী অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইংরেজির গুরুত্ব অস্বীকার করার উপায় নেই। ইংরেজি চর্চার মাধ্যমে আমরা বিশ্বের অনেক ভাষা-সাহিত্যের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পেতে পারি। এজন্য মাতৃভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা-সাহিত্যের চর্চার প্রয়োজন আছে। ভার্চুয়াল সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র শিক্ষক অফিসার ও কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন। তারা সকলে স্মৃতিচারণের মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত কথা পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে মাঝে মাঝে গান কবিতার আয়োজন ছিলো উপভোগ্য।

বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. লাইজু নাসরীন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের আহবায়ক অধ্যাপক মাসরুর শাহিদ হোসেন বলেন, বিশ^বিদ্যালয় আমাদের ঘর। এই ঘরের টানে আমরা স্মৃতিকাতর হই। আমরা প্রাণের পরশে তাই নতুন জীবনের স্বপ্ন আঁকি।

পছন্দের আরো পোস্ট