ড্যাফোডিলের ১৯ বছরে পদার্পন

নিজস্ব প্রতিবেদক।

ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি, সাফল্য আর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নিয়ে ১৯ বছরে পদার্পন করল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটি। ২০০২ নালের ২৪ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিগত বছরগুলোতে বেশ বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হলেও করোনার কারণে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নিয়মিত ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে এবারে দুদিনব্যাপী ভার্চুয়াল আয়োজন ছাড়া শশরীরে অংশগ্রহণ করার মত নেই কোন উৎসব অনুষ্ঠান।

ভার্চুয়াল আয়োজনের প্রথম দিনে রয়েছে ‘লাল মাটি থেকে সবুজ ক্যাম্পাস’ শীর্ষক আলোচনা ও সকল ক্লাবের অংশগ্রহণে অনুষ্টানমালা। আর দ্বিতীয় দিনে রয়েছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও ডিআইইউ এলামনাইদের অংশগ্রহণমূঔশ অনুষ্ঠান।

শিক্ষায় বিদেশ মুখীতা কমাতে এবং দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষের সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিশ্যত গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দেশে বসেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারীতে যাত্রা শুরুকরে। বর্তমানে ২০ হাজারের দেশী-বিদেশী শিক্ষার্থী মুখরিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল মাত্র ৬৭ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে।মাত্র ক’বছরে সবাইকে অবাক করে দিয়ে শিক্ষার গুনগত মান ও উৎকর্ষতায় ড্যাফোডিল উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক মূল্যায়িত ‘মানসম্পন্ন সেরা ১০ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়। লাভ করেছে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যারয়ের মর্যাদা।

স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে মানসম্মত ও গুনগত শিক্ষার স্বীকৃতি স্বরুপ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটি মর্যাদাপূর্ন স্থান করে নিয়েছে বিশ্বস্বীকৃত সেরা ”টাইমস হায়ার এযুকেশন, কিউ এস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং ও ইউ আই গ্রীন ম্যাট্রিকস্ রাংকিং -এ। এছাড়া শিক্ষার গুনগত মান, গবেষণা কর্ম, গ্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থান, বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান ও পরিবেশের জন্য অর্জনণ করেছে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক স্বীকৃতি। দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে সর্বাধিক সংখ্যক বিদেশী শিক্ষার্থীর। অর্জন করে নিয়েছে ওয়ার্ল্ড কোয়ালিটি কমিটমেন্ট এওয়ার্ড, গ্লে¬াবাল এমিটি এওয়ার্ড, এশিয়ার শ্রেষ্ঠ বিজনেস স্কুল এওয়ার্ড।

আশুলিয়ায় ১৫০ একর জায়গার উপর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি সম্পূর্ন আবাসিক সুবিধা সমন্বয়ে শিক্ষাকার্যক্রমও পুরোদমে চলছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪/৫ হলে প্রায় পাঁচ হাজার ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক শিক্ষা উপকরনসহ সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। করোনাকালে লকডাউনের কারণে যখন বিশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছিল তখন সকল প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে ফেলে প্রথম দিন তেকেই সকল প্রকার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সফলতার সাথে সম্পন্ন করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। ডিআইইউ যে শক্তিশালী টুলসটি ব্যবহার করছে তা হল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলএমএস) এবং ব্লেন্ডেড লার্নিং সিস্টেম (বিএলসি)। ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ক্লাস নেয়ার যথেষ্ট পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় লক ডাউনের শুরু থেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনলাইন শিক্ষায় পারদর্শীতার প্রমাণ রেখে চলেছে এবং শিক্ষার্থীরাও প্রযুক্তির সাথে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকল প্রকার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনাও শিক্ষকদের জন্য শতভাগ সহজতর হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৫০ জন পূর্ন এবং ১৫০জন খন্ডকালীন দক্ষ এবং অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা পাঠদান করা হয়। ভর্তি প্রক্রিয়া, পাঠদান থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকান্ডই সফটওয়ার ও কম্পিউটারাইজেশনের আওতাভূক্ত। যুগোপযোগী তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করে তোলার লক্ষ্যে এখানে প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীকে বিনামূল্যে একটি করে ল্যাপটপ দেওয়া হয়। প্রতিটি ক্যাম্পাসেই রয়েছে রিভর সুবিধা । এখানে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আরও উৎসাহিত করার জন্য রেজাল্টের উপর বৃত্তি প্রদান করা হয়।

Post MIddle

যুগোপযোগি বাস্তবভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। চাকুরী বাজারের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটি দেশে প্রথম ও একমাত্র বিষয় মাল্টিমিডিয়া এন্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং রিয়েল এস্টেট বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদী অনার্স কোর্স চালু করেছে ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট তথ্য প্রযুক্তি গবেষক ও লেখক প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান ।

বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের ত্বত্থাবধানে বিশ্বমানের শিক্ষা ও সুবিধাদির পাশাপাশি সহপাঠ কার্যক্্রম এবং শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মপোযোগী করে গড়ে তুলতে এবং ইন্টার্ন ও চাকুরী প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ( সিডিসি) নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবিষয়ক সামগ্রীক সহযোগিতার জন্য সার্বিকভাবে কাজ করে চলেছে ডাইরেক্টর অব স্টুডেন্ট এফেয়ার্স (ডিএসএ)। ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য ডি, আই, ইউ তে রয়েছে ডিজিটাল ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব, টেক্সটাইল, ফিজিক্স, ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ল্যাব, সিসকো ল্যাব, মাইক্রোসফট আইটি একাডেমী, লিনাক্স, রেডহাট ও ওরাকল ল্যাব । পড়ালেখার পাশাপাশি রয়েছে রোভার স্কাউট কার্যক্রম, ডিবেটিং, স্পোর্টস, সাইন্স, কম্পিউটার, বিজনেস, কালচারাল ক্লাবসহ ব্যায়ামাগার, মিডিয়া ল্যাব, সাইবার ক্যাফে ও ক্যান্টিন সুবিধা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অত্যšন্ত সাফল্য ও সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ার মধ্যে হতে পারে একটি অনন্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি গরিব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বৃত্তি প্রদান করে আসছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের ফ্রি অধ্যয়নের ব্যবস্থা রয়েছে। সেমিষ্টার ফাইনাল পরীক্ষায় ভাল জিপিএ অর্জনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা ১০% থেকে ১০০% পর্যন্ত বৃত্তি পেয়ে থাকে। এছাড়া সহোদর একাধিক ছাত্র-ছাত্রী এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করলে ৪০% বৃত্তি দেওয়া হয়। সিজিপিএ ৩.৯ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। নিয়মিত বৃত্তির পাশপাশি করোনাকালে প্রতিটি শিক্ষার্তীকে ১৫% হারে করোনা ওয়ভোর দেয়া হয়। পূর্নকালীন শিক্ষকের সার্বক্ষনিক সহায়তা, নিজস্ব আইএসপি সেট-আপ সহ আন্তজাতিক মানের সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ।

শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও গবেষনা কর্মে সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধ লাইব্রেরী যার সকল কর্মকান্ডই অনলাইন ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়ে থাকে। যে কোন শিক্ষার্থী অনলাইনের মাধ্যমে তার প্রয়োজনীয় বই এর বুকিং দিতে পারে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দেয়া চাহিদা অনূযায়ী দেশী বিদেশী রেফারেন্স বই সংরক্ষনের মাধ্যমে লাইব্রেরীকে সবসময় আপডেট রাখা হয়। লাইব্রেরীতে বসেই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা নোট, পরীক্ষার এসাইনমেন্ট ও গবেষণা পত্র তৈরী করতে পারে।

ভর্র্তি সেশন : ভর্তি সেশন মোট তিনটি । ফল (সেপ্টেম্বর – ডিসেম্বর ), স্পিং (জানুয়ারী-এপ্রিল ) এবং সামার সেশন (মে – আগষ্ট)।
ইমেইলঃ রহভড় @ফধভভড়ফরষাধৎংরঃু.বফঁ.নফ, ওয়েবঃ িি.িফধভভড়ফরষাধৎংরঃু.বফঁ.নফ
ফোন- ৯১৩৮২৩৪-৫, ৯১১৬৭৭৪ এবং ০১৭১৩৪৯৩০৫০-৫১, ০১৭১৩৪৯৩০১৫

মোঃ আনোয়ার হাবিব কাজল

পছন্দের আরো পোস্ট