অনশনরত দু’শিক্ষার্থীকে কেসিসি মেয়রের পরামর্শ 

খুবি প্রতিনিধি।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে শৃঙ্খলা বোর্ড দু’জন ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করার সিদ্ধান্ত দেয়। শৃঙ্খলা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত এই শাস্তি প্রত্যাহারে গত তিনদিন ধরে দু’জন ছাত্র অনশন কর্মসূচি পালন করছে জেনে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক গত (২২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে স্বাগত জানান উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। এসময় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষসহ ডিন, রেজিস্ট্রার, ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট এবং শিক্ষক, কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কেসিসির ডেপুটি মেয়র আলী আকবর টিপু উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র সকলকে সাথে নিয়ে অনশনরত দুই শিক্ষার্থীর কাছে যান এবং তাদের অবস্থার কথা জানতে চান। তিনি ছাত্রদের বক্তব্য অত্যন্ত ধৈর্যসহকারে দীর্ঘক্ষণ শোনেন। এসব শোনার পর মেয়র শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম পালন করে তারা দুঃখ বা ক্ষমা প্রার্থনা করে শৃঙ্খলা কমিটির চিঠির জবাব দিলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ সহানুভূতির সাথে বিবেচনার আহ্বান জানাবেন।

Post MIddle

এ সময় উপস্থিত উপাচার্য মেয়রকে অবহিত করেন তিনি ব্যক্তিগতভাবে দুবার এবং উপ-উপাচার্য, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং এলামনাইরা এই দুই শিক্ষার্থীর কাছে এসেছেন, তাদেরকে বুঝিয়েছেন।

উপাচার্য মেয়রের উপস্থিতিতে আবারও আশ্বাস দেন, শিক্ষার্থীরা যদি আপনার আহ্বান মতো দুঃখ বা ক্ষমা চেয়ে পত্রের জবাব দেয় তা’ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসন বিষয়টি অত্যন্ত সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করতে পারে।

মেয়র শিক্ষার্থীদের বলেন এ ধরনের একটি চিঠি তারা দিলে সে খবর পাওয়ার পর তিনি বেলা ৩টায় পুনরায় ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করাবেন।

তবে বেলা তিনটার পর দ্’ুশিক্ষার্থী দুঃখ বা ক্ষমা প্রকাশ ছাড়াই মেয়রকে মাধ্যম করে উপাচার্য বরাবর একটি চিঠি দেয়। যেহেতু চিঠিতে মেয়রকে মাধ্যম উল্লেখ করা হয়েছে তাই নিয়মানুযায়ী চিঠিটি মেয়রের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।

পছন্দের আরো পোস্ট