জাবির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান

জাবি প্রতিনিধি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় দিনে সকাল সাড়ে দশটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এম.পি’র শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রচার করা হয়।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিগত ৫০ বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কিংবা শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন প্রথিতযশা বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক ও গবেষকগণ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক ও গবেষক জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, শিল্প-সাহিত্যে আমাদের নমস্য ব্যক্তিত্ব। দেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেক ঐতিহ্য রয়েছে। দেশ গঠনে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।

Post MIddle

শিক্ষামন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব, নাট্যতত্ত্ব ও নৃবিজ্ঞানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতিসহ নানা ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন মাইলফলক হয়ে আছে। দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নারী উপাচার্য নিযুক্তির মধ্যদিয়ে অনন্য নজির স্থাপিত হয়েছে। মুজিব শতবর্ষে শিক্ষামন্ত্রী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা এবং নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে এ বিশ্ববিদ্যালয় আরও অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, মহামারি করোনাকালে অনলাইনে অনুষ্ঠান হচ্ছে। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সরাসরি উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হলে ভালো লাগতো। উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রাক্তন উপাচার্য ও অধ্যাপকগণের পরামর্শ এবং অভিমত বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে।

ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীরের পরিচালনায় এই ভার্চুয়াল স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আমির হোসেন, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, দেশ-বিদেশে অবস্থানরত প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীগণ অংশগ্রহণ করেন। ভার্চুয়াল এই স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানটি জুম প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি জনসংযোগ কার্যালয় জাবি ফেসবুকে সরাসরি প্রচার করা হয়।

পছন্দের আরো পোস্ট