মুক্তির নয় হিরোই বেস্ট হিরো: রাজ রিপা

ফয়সাল হাবিব সানি।

ঢালিউডের নবাগতা চিত্রনায়িকা রাজ রিপা। মূলত ছিলেন জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৮ ব্যাডমিন্টন দলের সদস্য। খুলনা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপাও জিতেছিলেন তিনি। তবে ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় থেকে দদহন’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিষিক্ত হন প্রথম রূপালি পর্দায়। ওই সিনেমাটিতে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রাজ রিপা। তবে সকল জল্পনা-কল্পনার শেষে আলোচিত চলচ্চিত্র পরিচালক ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত দমুক্তি’ নামক একটি ব্যতিক্রমী ও ভিন্নধারার চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ০৭ ডিসেম্বর শুভ মহরতের মধ্য দিয়ে পরিচালক ইফতেখার চৌধুরী তার চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় অভিনয়শিল্পীদের একে একে পরিচয় করিয়ে দেন। তবে সেখানেই ঘটেছে চমকপ্রদ মীরাক্কেল! এই চলচ্চিত্রে রাজ রিপার বিপরীতে মোট নয় জনকে দেখা যাবে নায়ক চরিত্রে। তারা হলেন- চিত্রনায়ক কায়েস আরজু, আনিসুর রহমান মিলন, খিজির হায়াত খান, আমান রেজা, সাইফ খান, রাশেদ মামুন অপু, আদর আজাদ চৌধুরী, ত্রিস্টিয়ানো তন্ময় ও আরেফিন জিলানী। আর তারপর থেকেই উঠেছে নানান আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এর আগে কোনো বাংলা চলচ্চিত্রে এক নায়িকার বিপরীতে নয় নায়ককে অভিনয় করতে দেখতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু এ ব্যাপারে সমালোচকদের প্রশ্নের কড়া জবাব ছুঁড়ে দিয়েছেন চিত্রনায়িকা রাজ রিপা।

Post MIddle

এ প্রসঙ্গে তিনি লেখাপড়া টোয়েন্টিফোর ডট নেটকে বলেন, দআমার বিপরীতে একজন বা দুইজন নায়ক নয়, একসাথে নয়জন নায়ক অভিনয় করছেন যা একজন অভিনেত্রীর পক্ষে সর্বোত্তম প্রাপ্তি যেকোনো চলচ্চিত্রেই। এইজন্য আমি নিজেকে অনেক বেশি ভাগ্যবতীও মনে করছি। অনেকে মনে করছেন একটি চলচ্চিত্রে এক নায়িকার বিপরীতে নয়জন নায়ক থাকার দরুণ অনেক নায়কই হারাতে পারেন তাদের নিজস্ব স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র্যতা। তবে কোনো নায়কের অভিনয়কেই ক্ষুদ্র বা ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই চলচ্চিত্রটিতে। এই চলচ্চিত্রে সকল নায়কই তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরা। সকলের অভিনয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রত্যেকেরই গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে এ সিনেমায়। ‘

তিনি আরও বলেন, দবাংলাদেশ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এমন চমক আগে কখনো পরিলক্ষিত হয়নি। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই চলচ্চিত্রের নয়জন নায়কই অনেক বেশি পরিশ্রমী ও মেধাবী। কিন্তু কিছু নিন্দুক বা সমালোচক ওই নয়জন নায়কের মধ্য থেকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এভাবে সমীকরণ মেলাচ্ছে যা খুবই দুঃখজনক। এই চলচ্চিত্রে নয়জন নায়কই ছবির স্বার্থে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে অত্যন্ত সক্রিয় ও বড়ো পর্দায় তাদের সেরাটা দর্শকদের সামনে উপস্থাপনের পরিশ্রমে উন্মত্ত। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এখনও এমন কিছু মানুষ আছে যারা নিজেরা ভালো কিছু করতে পারে না, উপরন্তু কেউ ভালো কিছু করতে গেলে তার পিছে লেগে সমালোচনা করে ওই ভালো কাজটা ব্যাহত করার চিন্তায় সদা তৎপর থাকেন। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে যা বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত বিরল। বলা বাহুল্য যে, নয় জন হিরোই মুক্তির গল্পের মেইন হিরো। একটি খুঁটি ছাড়া যেমন একটি ঘর অসম্পূর্ণ ও কল্পনাতীত, তেমনিরূপে এই নয় জনের মধ্যে একজন হিরো না থাকলেই আমাদের মুক্তির গল্পটাই পাল্টে যেত ও অসম্পূর্ণ রয়ে যেত। আর এই নয় জন হিরোর প্রত্যেকেই তাদের স্ব স্ব জায়গা থেকে সেরা এবং নাম্বার ওয়ান হিরো।’

অন্যদিকে, নতুন বছর নিয়ে এ চিত্রনায়িকার পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, নতুন বছর নিয়ে তার আলাদা তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই৷ দমুক্তি’ চলচ্চিত্রের কাজ শুরু হবে নতুন বছরের জানুয়ারিতে। আর এ নিয়েই বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকাই সিনেমার নবাগতা এ সুদর্শনা অভিনেত্রী। আর সিনেমাটির শুটিংয়ের অধিকাংশই হবে নোয়াখালীতে। এরই মাঝে তিনি লোকেশনের জন্য ঘুরেও এসেছেন নোয়াখালীর মাইজদী ও চৌমুহনী শহর হতে। উল্লেখ্য, অ্যাকশন থ্রিলার ধাঁচের এ ছবিটিতে গ্রামের সাধারণ মেয়ে মুক্তি কীভাবে সময়ের প্রয়োজনে অনন্য অসাধারণ হয়ে ওঠে সেই গল্পই দেখতে পাবেন দর্শকরা।

পছন্দের আরো পোস্ট