সুদবিহীন ৮ হাজার টাকা ঋণ পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা

জবি প্রতিনিধি।

করোনা মহামারীর কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে আর্থিক ভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ক্রয় করতে ঋণ প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সুদবিহীন এ ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা। শিক্ষার্থীদের এই ঋণের আসল অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান ফোনালাপে প্রতিবেদককে এসব তথ্য জানান।

রেজিস্ট্রার বলেন, করােনা মহামারির (কোভিড-১৯) কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ক্রয়ে সুদবিহীন ঋণ প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগ হতে ইতিপূর্বে প্রেরিত আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রদান করা হয়েছে। তালিকায় প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থীর নাম রয়েছে। বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের সফটলোন প্রদান করা হবে। লোন পেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

Post MIddle

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীকে ফোন ক্রয়ের ভাউচারটি ২৭ জানুয়ারি, ২০২১- এর মধ্যে বিভাগীয় চেয়ারম্যান এর নিকট জমা দিতে হবে এবং চেয়ারম্যানগণ উক্ত জমা রশিদ সফটলোন কমিটির সদস্য সচিবের নিকট ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ তারিখের মধ্যে প্রেরণ করবেন। শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কিংবা অধ্যয়নকালীন সময়ে চারটি সমান কিস্তিতে বা এককালীন পরিশোধ করতে হবে।

রেজিস্ট্রার জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ কে সভাপতি ও অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক কাজী মোঃ নাসির উদ্দীনকে সদস্য সচিব করে শিক্ষার্থীদের ‘সফট লোন অনুমোদন’ গঠন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সফট লোন অনুমোদন কমিটি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ইউজিসিতে প্রেরিত তালিকায় শিক্ষার্থীর নাম আছে কিনা তা পুনরায় যাচাই করে দেখবেন। পাশাপাশি কমিটির সুপারিশের আলোকে অনধিক আট হাজার টাকা আগামী ৩১ জানুয়ারি ২০২১ এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বরাদ্দ প্রদান করবেন।

উল্লেখ্য যে, সুদবিহীন এই ঋণের অর্থ সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কিংবা অধ্যয়নকালীন সময়ে ৪টি সমান কিস্তিতে বা এককালীন পরিশোধ করতে পারবে। ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর নামে কোন ট্রান্সস্ক্রিপ্ট ও সাময়িক বা মূল সনদ ইস্যু করা যাবে না।

পছন্দের আরো পোস্ট