রাবিতে বেগম রোকেয়া দিবস পালিত

রাবি প্রতিনিধি।

বাংলার নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া স্মরণে বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় রোকেয়া দিবস পালন করা হয়। এই উপলক্ষে ঐদিন সকাল ১০টায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে বেগম রোকেয়ার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় হল প্রাধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় হল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এই আয়োজনে উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান প্রধান অতিথি এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা ও রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম এ বারী বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন। হল প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর মোর্বারা সিদ্দিকার সঞ্চালনায় এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রাধ্যক্ষ ড. মো. রওশন জাহিদ, রহমতুন্নেসা হল প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর রুকসানা বেগম, হলের আবাসিক শিক্ষক ড. তানিয়া তহমিনা সরকার, ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর চিত্তরঞ্জন মিশ্র প্রমুখ বেগম রোকেয়ার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন।

ওয়েবিনারে উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন শুধু একটি নাম নয়, তিনি ছিলেন বাংলায় নারী শিক্ষা তথা নারী জাগরণের পথিকৃত একটি প্রতিষ্ঠান। ঊনবিংশ শতাব্দির কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও রক্ষণশীল সমাজের বিধি-নিষেধের শৃঙ্খল ভেঙ্গে তিনি নারী জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দেন শিক্ষার আলো।

Post MIddle

ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে নারীর সমাজের বৈষম্য ও বিধি-নিষেধমূলক আচরণের মূলে আঘাত হানেন। বেগম রোকেয়া তাঁর কর্মের মধ্য দিয়ে নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ছিলেন সদা উচ্চকণ্ঠ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও বেগম রোকেয়ার এই চিন্তা-চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। তা বাংলাদেশের নারী উন্নয়নে গৃহীত বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন পদক্ষেপে প্রতিফলিত হয়।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নারী-পুরুষ উভয়কেই একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে।

বেগম রোকেয়া যে লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন, সময়ের প্রাসঙ্গিকতায় আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাও সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৯৬ সালে তাঁরই সরকার ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রবর্তন করে। আজ এই পদক বাংলাদেশের নারী সমাজকে বেগম রোকেয়ার দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করছে।

ওয়েবিনারটিতে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ড. মো. আজিজুর রহমান, বিভিন্ন হল প্রাধ্যক্ষ, বিশিষ্ট শিক্ষকবৃন্দসহ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী ও মিডিয়াকর্মীরাও অংশ নেন।

পছন্দের আরো পোস্ট