ড্যাফোডিলে এমসিটি ওপেন ডে-২০২০ উদযাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি (এমসিটি) বিভাগের আয়োজনে ভার্চুয়াল ‘এমসিটি ওপেন ডে-২০২০’ উদযাপিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) জুম প্ল্যাটফর্মে উদযাপিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশ বরেণ্য সাংবাদিক ও চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এমসিটি বিভাগের প্রধান ড. শেখ মোহাম্মদ আলায়ের এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এমসিটি বিভাগের সিনিয়র লেকচারার মো. সামাউন হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাইখ সিরাজ বলেন, মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি আমাদের সামনে অবাধ সুযোগ এনে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও সুযোগ এনে দিবে। কিন্তু এই প্রযুক্তিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হলে সৃজনশীলতা প্রয়োজন। শুধু প্রযুক্তির ব্যবহার শিখে মাল্টিমিডিয়া সেক্টরে খুব বেশি উন্নতি করা যাবে না। এজন্য তিনি শিক্ষার্থীদেরকে সৃজনশীল হওয়ার আহ্বান জানান।

Post MIddle

শাইখ সিরাজ আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও তাদের সিলেবাস আধুনিকীকরণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভেবে দেখতে হবে, তারা শিক্ষার্থীদেরকে যে শিক্ষা দিচ্ছেন তা তাদের কর্মজীবনে কাজে লাগছে কিনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে সমাজ ও রাষ্ট্রের চাহিদা নিরূপন করা এবং সে অনুযায়ী জনশক্তি তৈরি করা। এসময় তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানান এমসিটির মতো একটি যুগপোযোগী বিভাগ খোলার জন্য।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এসএম মাহবুব উল হক মজুমদার বলেন, ডিজিটাল এই যুগে মাল্টিমিডিয়া শিক্ষার বিকল্প নেই। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে মাল্টিমিডিয়া সেক্টরে কাজের সুযোগ আরও বাড়তে থাকবে। তাই তরুণ শিক্ষার্থীরা মাল্টিমিডিয়া বিষয়ে পড়তে আগ্রহী হচ্ছে।

অধ্যাপক ড. এসএম মাহবুব উল হক মজুমদার আরও বলেন, ২০১২ সালে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমসিটি বিভাগের যাত্রা শুরু হয় এবং এ পর্যন্ত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এ বিভাগ থেকে ¯œাতক সম্পন্ন করেছে। তারা প্রত্যেকেই এখন দেশ বিদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে।

পছন্দের আরো পোস্ট