লক্ষ্য যখন ‘খ’ ইউনিট

জবি প্রতিনিধি।

এইচএসসি পরীক্ষার পরেই ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়। যাতে তারা তাদের প্রত্যাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে নিতে পারে। ভর্তি পরীক্ষার সময়টা সর্বশেষ প্রস্তুতির সময়। ভর্তি পরীক্ষার এই সময়টাকে বলা হয় ভর্তিযুদ্ধ। আর এই ভর্তিযুদ্ধে জয়ী হতে প্রয়োজন সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ। তেমনি এই ভর্তিযুদ্ধে যারা মানবিক বিভাগ থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে তাদের জন্য রয়েছে ‘খ’ ইউনিট। এই ইউনিটে বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক) থেকে প্রশ্ন হয়। আর এবার অনলাইনে প্রস্তুতিটাও নিতে হবে জোড়ালো, গুছিয়ে নিতে হবে পড়াশোনাটাও।

বাংলা পাঠ্যবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তবে এখন পুরো বই পড়ে সময় নষ্ট না করে বিশেষ বিশেষ অধ্যায়ের ওপর নজর দিতে হবে। আর বাংলা ব্যাকরণের ক্ষেত্রে সন্ধি, উপসর্গ, সমাস- এগুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সাধারণ জ্ঞানের কিছু বাছাই করা বিষয় না পড়ে সব বিষয়েই চোখ বোলানো উচিত। পত্রিকা পড়া আর নেটে সাম্প্রতিক বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ নজর রাখতে হবে। ইংরেজির ক্ষেত্রে গ্রামার সাইটগুলো একটু ভালো করে ঝালিয়ে নিতে হবে। আর যেহেতু লিখিত পরীক্ষা যুক্ত করা হয়েছে, তাই ইংরেজিতে ভালো করার বিকল্প নেই। নিয়মিত অনুশীলন করলে ইংরেজিতে ভালো করা সম্ভব।

Post MIddle

প্রস্তুতির ক্ষেত্রে:::::
-উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ের কোনো বিকল্প নেই।
-বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান প্রতিটি বিষয়ের প্রতি সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
-কোচিং সেন্টারকে দিকনির্দেশক, প্রশ্নব্যাংককে গাইডলাইনস ভেবে স্বনির্ভর হতে হবে।
-সময় নষ্ট না করে আতœবিশ্বাসী ও পরিশ্রমের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।

আত্মবিশ্বাস ধরে রাখলে সফলতা আসবেই। নিয়মমাফিক পরিশ্রমের পাশাপাশি কৌশলীও হওয়া প্রয়োজন। অপ্রয়োজনে ফোন ব্যবহার না করে সময়ের সঠিক ব্যবহার করে অনুশীলন সম্পর্কে সচেতন এবং নিজের উপর আত্নবিশ্বাস রেখে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ঠিক রেখে সামনে এগিয়ে যেতে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন যাই হোক, ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আত্মবিশ্বাসটা ধরে রাখো, সফলতা আসবেই ইনশাল্লাহ। মহামারীর এই সময়ে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে ভর্তি পরীক্ষার অপেক্ষা না করে প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে।

পছন্দের আরো পোস্ট