গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনারশিপ উইকের আলোচনা অনুষ্ঠান

গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনারশিপ উইক উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এন্ট্রাপ্রেনারশিপ ডেভলপমেন্ট ক্লাব। গত শুক্রবার (২০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এ আলোচনা অনুষ্ঠানে ই-লার্নিং বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্কের বাংলাদেশ প্রধান ড. মো. সবুর খান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ উইনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উপাচার্য মেজর জেনারেল সারোয়ার হাসান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাফিউদ্দিন আহমেদ। সারা বিশ্বে সাত দিনব্যাপী (১৬-২২ নভেম্বর) পালিত হচ্ছে গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনারশিপ উইক।

বাংলাদেশের দিবসটি উদযাপন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ট্রাপ্রেনারশিপ ডেভলপমেন্ট ক্লাব। এ আয়োজনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

ড. মো. সবুর খান তার নির্ধারিত ই-লার্নিং বিষয়ক বক্তব্যে বলেন, অনলাইন শিক্ষা এখন সময়ের দাবি। এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করার কোনো উপায়। ২০০৭ সালে রাজনৈতিক কারণে সারা দেশ যখন উত্তাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো ক্লাস নিতে পারছিল না, তখনই ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় উপলব্ধি করে যে অনলাইন শিক্ষায় প্রবেশ করতে হবে।

এরপর ২০১৩ সালে আবার যখন রাজনৈতিক কারণে সারাদেশে হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও পোড়াও শুরু হয়, তখন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবেই অনলাইন শিক্ষায় প্রবেশ করে। এখন এই করোনার সময়ে আমরা সেই সুফল পাচ্ছি। আমাদের শিক্ষাকার্যক্রম শতভাগ অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এই মহামারীর মধ্যেও আমরা ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে ল্যাপটপ দিয়েছি।

ড. মো. সবুর খান আরও বলেন, অনলাইন শিক্ষাকে আরও কার্যকরী করতে সকল সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। অনেক তরুণ শিক্ষক আছেন যারা অনলাইন শিক্ষায় যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছেন। এসব শিক্ষকদের সামনে আনতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ভার্চুয়াল জ্ঞান বিতরণ বাড়াতে হবে।