এগিয়ে যাচ্ছে ‘পাঠশালা’

মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ।

পথশিশুদের নিয়ে কাজ করা তারুণ্যনির্ভর সংগঠন “পাঠশালা”। ‘জ্ঞান অর্জন ও বিস্তার’ এ শ্লোগানকে বুকে ধারন করে সেচ্ছাসেবী সংগঠন পাঠশালা ২০১৯ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। পাঠশালা হচ্ছে এমন একটি সেচ্ছাসেবামূলক সংগঠন যেখানে সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করা হয়।

পথশিশু এবং সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার জন্য কাজ করা পাঠশালার প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় পথশিশু এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা, দেশের বিভিন্ন জেলায় পর্যায়ক্রমে পথশিশু এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে “হাতেখড়ি-স্কুল” প্রতিষ্ঠা করা, লেখাপড়ার পাশাপাশি তাদের প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করা, স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আলাদা আলাদাভবে বিভিন্ন শিক্ষামুলক অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা এবং সেমিনার আয়োজন করাও পাঠশালার অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

পাঠশালা সৃষ্টির লগ্ন থেকেই সংগঠনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য পূরনে অবিচল ছুটে চলেছে সারা দেশের একঝাঁক তরুন। এ পর্যন্ত সারা দেশে বেশ কিছু কার্যক্রম চালিয়েছে পাঠশালা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নোয়াখালী বিগ্গান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরন করা, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশুদের মাঝে খাবার বিতরন করা, রাজশাহীর কাজলায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরন করা, ফরিদপুর ইন্জিনিয়ারিং কলেজে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা, ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং তাদের খাবার সহ শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, রাজশাহীর রেলওয়ে কলোনি মাঠে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং খাবার ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরন, বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় এসএসসির কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার দেয়া।

Post MIddle

এ ছাড়াও করোনাকালীন সময়ে রাজশাহী এবং বগুড়ায় খাবার বিতরণ করা হয়। দেশের ২০ টির বেশি জেলায় একযোগে সার্ভে করা হয় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে যাতে তারা শিক্ষার দিকে আরও ধাবিত হয়, বর্তমানে পাঠশালার মেগা ইভেন্ট স্কিল ডেভলপমেন্ট ট্রেনিং সেশন চলছে যেখানে সারা দেশের তরুনরা তাদের নানা ধরনের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে। এছাড়াও সারা দেশে পাঠশালা ছোট বড় আরও অনেক প্রোগ্রাম করে।

বর্তমানে পাঠশালা কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও সারাদেশে বর্তমানে ১১ টি শাখা কমিটি সচল রয়েছে, এছাড়াও বেশ কয়েকটি কমিটি প্রস্তাবিত রয়েছে। ঢাকা জোন, রাজশাহী জোন, গাইবান্ধা জোন, বগুড়া জোন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রংপুর টেক্সটাইল কলেজ কমিটিসহ সারা দেশে পাঠশালার রয়েছে একঝাঁক ক্যাম্পাস এম্বাসেডর, রয়েছে ক্রিয়েটিভ ফ্যাকাল্টি মেম্বার, আইটি সেল, প্রোগ্রাম অর্গানাইজিং সেল। বর্তমানে সারা দেশে পাঠশালার রেজিষ্ট্রেশনকৃত সদস্য সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার।

পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা এবাদুল ইসলাম বলেন, “আমি দেশের একঝাঁক তরুণ কে নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি দেশের পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের শিক্ষার জন্য কিছু করতে। এই ধারাকে আরও বেগবান করার জন্য পাঠশালার সাথে তরুণদের কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি। সবার সহযোগিতা পেলে হয়তো পাঠশালা আরও দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবে”।

পছন্দের আরো পোস্ট