ড্যাফোডিলে যৌন নিপীড়ন রোধ করি শীর্ষক ওয়েবিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যৌন নিপীড়ন রোধ করি’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২০ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও ক্যাম্পাস টিভিতে এ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনের (২০ অক্টোবর) অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান এবং দৈনিক প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক সাবিনা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান।

দ্বিতীয় দিনের (২১ অক্টোবর) অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাইকোলজিক্যাল হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস ক্লিনিকের সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলর আবিদা আক্তার ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং ইউনিটের সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলর আয়েশা সিদ্দিকা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কাউন্সেলর বিলকিস খানম।

Post MIddle

সমাপনী দিনের (২২ অক্টোবর) অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক তাসলিমা ইয়াসমিন এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা বনশ্রী মিত্র নিয়োগী। এদিন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মানবিক ও সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী ডিন এবং কমপ্লায়েন্ট কমিটি টু প্রিভেন্ট সেক্সুয়াল হ্যারাজমেন্ট-এর চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব।

তিন দিনের এই অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে। তবে সম্প্রতি এই সহিংসতার মাত্রা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই যৌন সন্ত্রাশ রুখে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। এ সময় বক্তারা মানুষকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন। এছাড়া তারা যৌন সহিংসতা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিচারহীনতাকেও দায়ী করেন। বক্তারা বলেন, অনেক সময় দেখা যায় ধর্ষকরা আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিচার হচ্ছে না বা তারা প্রকৃত শাস্তি পাচ্ছে না। অপরদিকে নিপীড়িত নারীই বরং সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আইনের প্রয়োগ জরুরি বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতি অনুসরণ করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। উচ্চ আদালত, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি শক্তিশালী যৌন নিপীড়নবিরোধী কমিটি তৈরি করেছে। এছাড়া ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তাদের শিক্ষার্থীদেরকে যৌন নিপীড়ন সম্পর্কে সচেতন করতে নিয়মিত বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মমাশালার আয়োজন করে থাকে।

পছন্দের আরো পোস্ট