বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেনস্ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির যৌথসভা

নিজস্ব প্রতিবেদক।

বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেনস ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পৃষ্ঠপোষকতায় (২০ অক্টোবর ২০২০) ৭১ মিলনায়তনে সোসাইটির পৃষ্ঠপোষক, উপদেষ্টামন্ডলী ও কার্যনিবাহী পরিষদের প্রথম যৌথসভা শারীরিক উপস্থিতি ও ভার্চুয়াল দুইভাবে অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেনস ওয়েলফেয়ার সোসাইটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমততাজ ঊদ্দীন আহমেদ এর সভাপতিত্বে যৌথসভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী এবিএম গোলাম মোস্তফা, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সোসাইটির পৃষ্ঠপোষক ড. মোঃ সবুর খান, বাংলাদেশ ডেন্টাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আমিরুল ইসলাম, হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ এর সভাপতি এডভোকেট মনজিল মোর্শেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, বিআইডিএস’ এর সাবেক সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. শরীফা বেগম, উই ফর অল এর চেয়ারম্যান কাজী শফিকুল ইসলাম, ইসলামী ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোঃ লুৎফর রহমান, জনসংযোগ সচিব প্রদীপ কুমার ঘোষাল, প্রচার সচিব মোঃ আলফাজ উদ্দিন চৌধুরী ও এজিং সাপোর্ট ফোরামের সভাপতি মেঃ হাসান আলী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সোসাইটির মহাসিচব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ফজলুল হক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইবি’র সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভ’ইয়া। সভাশেষে সাম্প্রতিককালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদেও রুহের মাগফেরাত কামনা এবং আক্রান্তদের আশুরোগমুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।

Post MIddle

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সুপ্রাচীন পারিবারিক ঐতিহ্য ও পারিবারিক বন্ধন ক্রমাগত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। পুরণো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রবীণদের মর্যাদা ও সম্মান দিতে হবে। তাদেরকে প্রবীণ না বলে ‘অভিজ্ঞ’ বলার আহ্বান জানান তারা। এছাড়া সরকার ও বিভিন্ন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সরকার ইতিমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, প্রবীণদের ভরণপোষণ সংক্রান্ত আইন পাশ করেছে। এ আইনকে যুগান্তকারী হিসেবে উল্লেখ করেন বক্তারা।

জেলায় জেলায় প্রবীণ হাউজ গড়ে তোলার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, প্রবীণদের সমস্যা সমাধান কোনো একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাজ নয়। এই দায়িত্ব মূলত সরকারকে নিতে হবে। সে জন্য প্রবীণদের কল্যাণে গঠিত সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, যাতে দেশে একটি প্রবীণবান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়।

বক্তারা আরো বলেন, প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি সুখী, সুন্দর, বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে তরুণদের সংখ্যা বেশি। কিন্তু গড় আয়ু বাড়ার কারণে অচিরেই প্রবীণদের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। তাই তরুণ থাকা অবস্থাতেই প্রবীণ বয়সের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

পছন্দের আরো পোস্ট