ধর্ষণ বন্ধ করতে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে

সৈয়দা মুনিয়া জান্নাত।

বর্তমানে করোনা থেকেও বেশি রাজত্ব করছে মহামারী ভাইরাস “ধর্ষণ । খুবদ্রুত এর ভ্যাকসিন প্রকাশ্যে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে,তবেই আশা করছি নোংরামি হাজারগুনে কমবে।আমি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস অত্যাচার দেখিনি কিন্তু বাংলাদেশী হানাদার ধর্ষকবাহিনীর মায়ের জাতের মানইজ্জত লুটে নেয়ার ভয়াবহ পাশবিক অত্যাচারের লাইভ ভিডিও দেখেছি।

অবশেষে ধিক্কার জানিয়ে হায়েনাদের দমবন্ধকর বোবাকান্নায় মেতেছি । আসলে কোথায় আছি আমরা ??? হয় ধর্ষক বাঁচুক নয়তো নারীরা স্বাধীনভাবে বাঁচুক ! আর কতকাল পায়ে বন্দিশিকল লাগিয়ে নিজেদের ঘরকুনো করে রাখবে মেয়েরা !!! আসলে পরিবার থেকে কি আসলেই নৈতিক শিক্ষা পাচ্ছে বর্তমানের মুখোশধারী পাপিষ্ঠ ছেলেরা ?

“ধর্ষণ যে করে আর ধর্ষণ যে সহে
তব ঘৃণা তারে যেনো দুনিয়াতেই বিষাক্ত অজগরসাপ দহে “

ধর্ষণ বন্ধে প্রথমত আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। একাধারে শুধুমাত্র অসহায় মেয়েদের দোষ দিলেই হবেনা। ধর্ষণের জন্যে মেয়েদের পোশাক নয় বরং পুরুষদের লালসাময় জঘন্য দৃষ্টিভঙ্গি দায়ী ।শুধু মেয়েদের পর্দা করতেই ইসলাম কিন্তু বলেনি।আল কোরআনে সূরা নূরে পুরুষদের চোখের দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বলেছে।

Post MIddle

মূলত পুরুষদের চোখের পর্দা করা মেয়েদের দিকে যখন তখন তাকিয়ে যিনা না করা।মেয়েরা কিন্তু বর্তমানে পর্দা করেও হায়েনা ধর্ষকদের কবল থেকে মুক্তি পাচ্ছেনা। এমনকি নিষ্পাপ শিশুরাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত । বিষয়গুলো নিয়ে আসলে গভীরভাবে ভাবার সময় চলে এসেছে । ভুক্তভোগীর দিকে কাঁদা ছুড়াছুড়ি না করে কুলাঙ্গার ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে । নয়তো ভুক্তভোগী যেভাবে চায় ঠিক সেভাবে ক্ষতবিক্ষত করে ধর্ষককে শাস্তি দেয়ার বিধান করা যেতে পেরে ।

মায়েদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই,পুত্রসন্তান হলে অধিক খুশি হয়ে তাদের যেভাবে খুশি সেভাবে লালনপালন করলে চলবেনা।মায়ের জাত নারীকে সম্মান করার বীজ বপন করতে হবে আদরের সন্তানদের মনের বাগানে।পর্যাপ্ত পরিমান নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে ।

পরিবারই কিন্তু জীবনের আদর্শ বিদ্যালয় । রাস্তাঘাটে মেয়েদের দেখলে যেনো দৃষ্টি সংযম করে চলতে পারে সেই শিক্ষা দিতে হবে । মেয়েদের সম্মান করা শিখাতে হবে অপমান করা নয় । কোন জিনিস ভালো কোনটা খারাপ এসব শিক্ষা একটা ছেলেকে পরিবার থেকেই দিতে হবে । ছোট থেকে আপনি সন্তান যেভাবে গড়ে তুলবেন বড় হয়ে ঠিক সেভাবেই চলাফেরা করবে ।

কোনো বাবা মা চায়না সন্তান খারাপ পথে যাক । কিন্তু পারিবারিক শিক্ষার অভাবে অধিকাংশ ছেলেরা আজ ধ্বংসের পথে । বাবা মায়েদের সঠিক শিক্ষার উদাসীনতার মনোভাব দূর করতে হবে । সন্তানের মনমানসিকতার সুন্দর বিকাশে পরিবার অসীম ভূমিকা পালন করুক ঐটাই চাই ।

“বাঙলার পবিত্র মাটি থেকে দূর হউক বিবেকহীন মেশিনে তৈরী সকল পিচাশ ধর্ষক ভুক্তভোগী অসহায় নারীজাতির ক্রন্দনে ভেসে আসা ধর্ষণের দমবন্ধকর কাহিনীগুলো বিভীষিকাময় কঠিন লোমহর্ষক ।”

পছন্দের আরো পোস্ট