রচনা প্রতিযোগিতায় ১ম হলেন ইবনূর আল হা-মীম
নিজস্ব প্রতিবেদক।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে রচনা, সুন্দর হাতের-লেখা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা জেলা ভিত্তিক চারটি গ্রুপ ও বিষয়ে ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত রচনা প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়। রচনা প্রতিযোগিতার বিষয়সমূহ (ক) পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণি, রক্তঝরা একুশ ও বঙ্গবন্ধু, (খ) নবম-দ্বাদশ শ্রেণি, ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু, (গ) স্নাতক-স্নাতকোত্তর, একুশের চেতনায় বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু, (ঘ) সর্বসাধারণ, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান।
গ্রুপ ভিত্তিক অংশগ্রহণকারীদের নিকট হতে প্রাপ্তির পর যাচাই-বাছাই ও মূল্যায়ন করে অক্টোবরে চূড়ান্ত বিজয়ীদের তালিকা ঘোষনা করা হয়। রচনা প্রতিযোগিতার (খ) গ্রুপে “ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু” ঢাকা জেলায় প্রথম হয়, নটর ডেম কলেজের একাদশ শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্র ইবনূর আল হা-মীম। করোনা ভাইরাসের কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয় বিধায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের উপপরিচালক হরেন্দ্রনাথ বসু পুরষ্কার হিসেবে “বই ও সনদপত্র” প্রদান করেন।
অভিমত প্রকাশে ইবনূর আল হা-মীম বলেন, ৫ অক্টোবর সকালে আম্মুর মোবাইলে ফোন আসে, মোবাইল হাতে নিয়ে আম্মু অবাক হয়, কারণ টিএন্ডটি নম্বর থেকে ফোন! সাধারণত টিএন্ডটি নম্বর হতে ফোন করার মতো আপতত কেউ নেই আমাদের। আম্মু কথা বলার পর জানতে পারি আমি “ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু” রচনা প্রতিযোগিতায় ঢাকা জেলায় ১ম হয়েছি।
সংবাদটি পেয়ে খুবই ভালো লেগেছে। ৬ অক্টোবর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের উপপরিচালক হরেন্দ্রনাথ বসু মহোদয়ের হাত থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করি। আমাদের ভাষা, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু এক সুতোয় গাঁথা, তা কিছুটা হলেও জানতে পেরেছি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে। আয়োজকদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই এমন একটি প্রতিযোগিতার উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য।
সন্তানের সাফল্যে হা-মীমের মা জেসমিন আখতার বলেন, ছেলের এই অর্জনে আমি খুবই আনন্দিত কিন্তু একইসাথে আমি মনে করি তার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে, ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য। গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানাই শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখার পাশাপাশি মেধা বিকাশের সুযোগ করে দেয়ার জন্য, যা অনেকটাই সহশিক্ষা কার্যক্রমের সহায়ক বলে আমি বিশ্বাস করি।
অদৃশ্য দুর্যোগ করোনা ভাইরাসে কারণে আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন যখন ধীরগতি তখন প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। সকল অভিভাবকের প্রতি আমার আহবান আমাদের সন্তান যেন প্রযুক্তির অপব্যবহার না করে সেই বিষয়ে সচেতন ও সর্তক থাকতে হবে।