ইবির আবাসিক হলে চুরি
টি এইচ জায়িম। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ রাসেল হল থেকে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সাবমারসিবল পাম্প চুরির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার হলের শাখা কর্মকর্তা সুজল কুমার অধিকারী চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত ২১ তারিখ রাতে পাম্পটি চুরি হতে পারে বলে তিনি জানান। চুরির ঘটনায় ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
হলের পরিচ্ছনতা কর্মী বিষ্ণু কুমা জানান, মঙ্গলবার আনুমানিক ১১টার দিকে একজন কর্মচারী পাম্পটি দেখতে না পেয়ে হলের কর্মকর্তা ও আবাসিক শিক্ষকদের জানানো হয়। তখনই চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। লালন শাহ হলের পকেট গেটে পাম্পটির একটি নাট খুঁজে পাওয়ায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চুরির পর পাম্পটি এই গেট দিয়ে বের করা হয়েছে।
জানা যায়, হলের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে দুটি পাম্প রয়েছে। উত্তর দিকের পাম্পটির মুল্য প্রায় আড়াই লাখ ও চুরি হয়ে যাওয়া দক্ষিণ পাশের পাম্পটির মূল্য এক লাখ টাকার বেশি। লাখ টাকার মূল্যে হলেও পাম্প দুটি একেবারেই অরক্ষিত ছিল। দুটি পাম্পই হল ভবনের একদম বাহিরে। ছিল না তালা দিয়ে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থাও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মচারী জানান, হলের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা থাকলেও সেগুলো হলের সামনের দিকেই। হলের দুই পাশে মুল্যবান জিনিসপত্র থাকলেও সেদিকে কোনো ক্যামেরা থাকেনা। চুরির ঘটনাটি সামনে আসলে এখন সিসি ক্যামেরার দিক পরিবর্তন করা হয়েছে।
নিরাপত্তা কর্মীদের দায়িত্বহীনতার জন্যই এই চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ কর্মকর্তা কর্মচারীদের।
চুরির সংবাদ পাওয়ার আগেরদিন রাতে দায়িত্বরত আনসার সদস্য মামুন বলেন, একা সারা রাত ডিউটি করি। রাত দুইটা পর্যন্ত জেগে থাকি। হলের গেস্ট রুমে বসে থাকি সাথে টহল দেই। ওইখানে যে পাম্প আছে তা এর আগে কেউ আমাকে বলেনি। সেই রাতে চুরি হয়েছে নাকি আরো আগে তা বলাও মুশকিল।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রবিউল হোসাইন বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পাম্পটি হলের পেছনে হওয়ায় সেখানে সিসি ক্যামেরা ছিল না। আমরা হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রক্টর অফিসকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং রেজিস্ট্রারকে লিখিতভাবে অবিহিত করেছি। একই সাথে আমরাও খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রক্টর অফিস তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা প্রহণ করবে।