এমপিওভুক্তির আবেদন যথাসময়ে নিষ্পত্তির নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদন যথাসময়ে নিষ্পতি ও অগ্রাগামী করার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যৌক্তিক কারণ ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি বা অগ্রগামী না করে অনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত হয়ে দীর্ঘসূত্রিতার প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান/উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার/ জেলা শিক্ষা অফিসার/উপ-পরিচালক/ পরিচালকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।

Post MIddle

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক চও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (বেসরকারি মাধ্যমিক-৩) শাখা থেকে ৩ সেপ্টেম্বর এক অফিস আদেশে এ সতর্ক করা হয়। পরে এ বিষয়ে অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশের কপি ১২ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ও যোগ্য শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (মান্থলি পে অর্ডার) তাঁদের জীবন-জীবিকা ও শিক্ষার্থীদের পাঠদানে মনোনিবেশের সাথে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। কিন্তু কোন কোন উপজেলা/থানা/জেলা/অঞ্চল থেকে এমপিও‘র সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কাগজপত্র চেয়ে অথবা যৌক্তিক কারণ ব্যতিরেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের অনলাইনে দাখিলকৃত এমপিও ফাইল অগ্রগামী/নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিা পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা কাম্য নয়। তৎপ্রেক্ষিতে, অনলাইনে দাখিলকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদন অগ্রগামী/নিষ্পত্তি করতে তিনটি নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান/উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার/ জেলা শিক্ষা অফিসার/উপ-পরিচালক/ পরিচালক বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ও যোগ্য শিক্ষক-কর্মচারীদের অনলাইনে এমপিওভুক্তির আবেদন নিজ নিজ পর্যায়ে থেকে সর্বোচ্চ ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তাঁর উর্ধ্বত কর্তৃপক্ষের নিকট অগ্রগামী করবেন। অনলাইনে প্রাপ্ত আবেদন যথাসময়ে নিষ্পত্তি/অগ্রগামী করা সম্ভব না হলে তার সুনির্দিষ্ট/যৌক্তিক কারণ থাকতে হবে এবং তা ব্যাখ্যা করতে হবে।

যৗক্তিক কারণ ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি বা অগ্রগামী না করে অনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত হয়ে দীর্ঘসূত্রিতার প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান/উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার/ জেলা শিক্ষা অফিসার/উপ-পরিচালক/ পরিচালকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া এমপিও সংক্রান্ত ম্যানেজিং কমিটির/পরিচালনা কমিটির সভা আহবান, রেজুলেশন লেখা/স্বাক্ষর এবং নিয়োগ সংক্রান্ত কাজে সভাপতি অনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত থাকলে এবং দীর্ঘসূত্রিতার প্রমাণ পেলে তাঁকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি/পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতিসহ সভাপতির পদ শূন্য ঘোষণা করা হবে এবং বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#

পছন্দের আরো পোস্ট