নারীবান্ধব উপাচার্য চায় ইবি শিক্ষার্থীরা

টি এইচ জায়িম.ইবি প্রতিনিধি।

গত ১৯ দিন থেকে শুন্য রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ। সর্বশেষ দায়িত্ব পালন করেছেন ১২তম উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। এরপর থেকেই এক ডজন শিক্ষক দৌড়ঝাপ করেছেন উপাচার্যের পদে বসতে। দিন বাড়ার সাথেসাথে জল্পনা কল্পনা আরো তীব্র হয়েছে শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমত একজন উপাচার্য পেতে মনের ভাব প্রকাশ করছে বিভিন্ন মাধ্যমে।

ইবির ১৩তম উপাচার্যকে নারী বান্ধব একজন উপাচার্য হিসেবে চায় শিক্ষার্থীরা। যিনি ক্যাম্পাসকে গড়ে তুলবেন নারী শিক্ষার্থীদের অভয়ারণ্যে হিসেবে। যেখানে থাকবে না কোন বৈষম্য। হীন চরিত্রের শিক্ষকদের লালসার শিকার হতে হবে না তাদের। নিপীড়িত হবে না কোন ছাত্রী। ছাত্রীদের দাবী এমন উপাচার্য হবেন যিনি নারী শিক্ষার্থীদের অধিকার এবং তাদের নিরাপত্তা ও তাদের শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ তৈরী করতে তিনি তৎপর থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ভাবনায় এমনটি প্রকাশ পেয়েছে।

অধিকার ও তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আইন বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, একজন ইবি শিক্ষার্থী হিসেবে আমি এমন একজনকে ভিসি হিসেবে দেখতে চাই যিনি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তুলবেন। যেখানে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত হবে। সে জন্য প্রয়োজন নারীদের জন্য ক্যাম্পাসে ২৪ ঘণ্টাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যিনি হলে আবাসন বৃদ্ধিসহ সব হলেই শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সিট নিশ্চিত করবেন এবং হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। নারীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস উপহার দিতে পারবে।

Post MIddle

ইতোপূর্বে ইবিতে অনেক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে অনেক প্রতিবাদও হয়েছে। এর মধ্যে অনেক ঘটনায় ভিকটিম সুবিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই পরবর্তী উপাচার্য হিসেবে একজন নারীবান্ধব উপাচার্য চাই।’

এবিষয়ে ইংরেজী বিভাগের স্নাতোকত্তর শিক্ষার্থী আফরোজা রোজা বলেন,‘একজন উপাচার্যকে দল মত নির্বিশেষে শিক্ষার্থী বান্ধব হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। যার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অসুবিধা নিজেরও অসুবিধা বলে গণ্য হবে। ভবিষ্যত উপাচার্যের কাছে আমার প্রত্যাশা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ যেন ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য সমান হয়। কেননা ছেলে মেয়ে উভয়কে একইভাবে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য বাঁধা নিষেধের এক ঘেরাটপ যেন সর্ব ক্ষেত্রে বিরাজমান। তাই একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেই একটা মেয়ে শিক্ষার্থীর অবাধ চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তার নিমিত্তে ক্যাম্পাসময় পর্যাপ্ত আলো ও গার্ডের ব্যবস্থা করা উচিত বলে আমি মনে করি।’

পছন্দের আরো পোস্ট