ঢাবিতে জাতীয় কবির ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ঢাবি প্রতিনিধি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা যথার্থভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাজনীতির কবি, রাজনীতির কবি হয়ে তিনি সাম্য, মানবতা ও প্রেমের কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সম্মানিত করেছেন। আজ ২৭ আগস্ট ২০২০ বৃহস্পতিবার অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাম্য, অসাম্প্রদায়িক,মানবতা ও প্রেমের কবি কাজী নজরুলকে নানাভাবে ধারণ করতেন এবং সেকারণেই তিনি নজরুলকে জাতীয় কবির মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে তাঁকে যথার্থভাবে সম্মানিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু যেরকম অল্পসময়ের মধ্যে অসাধারণ নেতৃত্ব ও সৃষ্টিশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে একটি জাতিরাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন তেমনিভাবে কাজী নজরুলও স্বল্প সময়ে শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাঁর সৃজনশীলতার অসাধারণ অবদান রেখেছেন যা বিশ্ব সাহিত্যে এক অমূল্য সম্পদ হিসেবে পরিলক্ষিত হয়।

ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিশিষ্ট নজরুল বিশেষজ্ঞ জাতীয় অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ঢাবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা সঞ্চালনা ও সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক।

Post MIddle

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আরও বলেন, বিংশ শতকের শুরু থেকে বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনসহ বিভিন্ন পর্বে কবি নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে কবির এই সম্পৃক্ততা নিয়ে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় কবি নজরুল’ শীর্ষক একটি বই প্রকাশনার উদ্যোগ নেয়া হবে।

জাতীয় অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম এই বই এর সম্পাদনার দায়িত্বে থাকবেন বলে উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন।জাতীয় অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে জাতীয় কবি কাজী নজরুলের সম্পর্কের উপর আলোকপাত করে বলেন, বিশ-এর দশকের শেষের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন পরিচালনায় ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ নামে এক অসাম্প্রদায়িক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই সংগঠনের সম্মেলনে কবি নজরুলকে আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি এতে যোগ দেন এবং অসাম্প্রদায়িক বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনে মুসলিম সমাজের জাগরণ দেখে অত্যন্ত আনন্দিত হন।

এর আগে কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকাল ৭:১৫টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধিতে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন। এছাড়া, বাদ ফজর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদুল জামিয়া’য় কোরানখানি অনুষ্ঠিত হয়।

পছন্দের আরো পোস্ট