খুবির কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উদ্বোধন শুক্রবার

খুবি প্রতিনিধি।

আগামী ১৩ ভাদ্র, ৮ মহররম, ২৮ আগস্ট, শুক্রবার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উদ্বোধন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান মসজিদের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন।

এদিন পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মসজিদের কার্যক্রম শুরু হবে। জুম্মার নামাজে দেশ, জাতি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হবে।

১৪৫০০ বর্গফুট আয়তনের একতলা বিশিষ্ট এই মসজিদে একসাথে প্রায় দুই হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদটির নির্মাণের অবশিষ্ট কাজ সম্পূর্ণ হলে এটি হবে খুলনার অন্যতম একটি সৌন্দর্য্যমন্ডিত মসজিদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের তৎকালীন শিক্ষক মুহাম্মদ আলী নকী মসজিদটির প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন করেন। পরবর্তীতে একই ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মোঃ মারুফ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম মসজিদের পূর্ণাঙ্গ নকশার কাজ চূড়ান্ত করে।

Post MIddle

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন বর্তমান জামে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মওলানা মুফতি আব্দুল কুদ্দুসকে নতুন এই কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে পেশ ইমাম হাফেজ মওলানা মোঃ মুস্তাকীম বিল্লাহ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন জামে মসজিদের ইমামতি করবেন।

এদিকে রেজিস্ট্রার দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে ফলক উন্মোচন ও উদ্বোধনপর্বসহ জুম্মার নামাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি ও সংশ্লিষ্ট সকল মুসল্লিদের উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের কটকা স্মৃতি সৌধের অদূরে প্রায় এক একর জায়গা জুড়ে এই মসজিদটির অবস্থান। যার অদূরেই রয়েছে ছাত্রদের তিনটি হল, যথাক্রমে: খানজাহান আলী হল, খানবাহাদুর আহছানউল্লা হল এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল।

অপরদিকে মসজিদটির উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে ড. সত্যেন্দ্র নাথ বসু একাডেমিক ভবন, আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন, কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবন এবং কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। ফলে ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারিদের পক্ষে এই মসজিদে নামাজ আদায়ে সুবিধা হবে।

আগামী শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২ টায় এ মসজিদে প্রথম আজান দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে মুসল্লিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় সম্ভব হলে জায়নামাজ সাথে আনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

পছন্দের আরো পোস্ট