বশেমুরবিপ্রবি’র তদন্ত কমিটির ১ সদস্যকে অব্যাহতি প্রদান

ফয়সাল হাবিব সানি, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার (একুশে লাইব্রেরি ভবন) থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনায় গঠিত ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি থেকে ১ জনকে অব্যাহতি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অব্যাহতিপ্রাপ্ত ওই সদস্যের নাম মোঃ নজরুল ইসলাম হীরা এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার পদে কর্মরত রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ওই বার্তায় উল্লেখ করা হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরির ঘটনায় গঠিত ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটির কার্যক্রম সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে রাখতে অপর ৬ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এদিকে, গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে কম্পিউটার চুরির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আয়োজিত ওই মানববন্ধনে ওই শিক্ষার্থীরা বলেন, কম্পিউটার চুরির অপরাধের সাথে জড়িত থাকার কারণে পুলিশ যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাসরুল ইসলাম পনি শরীফকে একটি রেস্টুরেন্ট থেকে গ্রেফতার করেন, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তাও ওই শিক্ষার্থীর (পনি শরীফ) সঙ্গে রেস্টুরেন্টে উপস্থিত ছিলেন।

Post MIddle

এ বিষয়ে যে রেস্টুরেন্ট থেকে পনিকে গ্রেফতার করা হয়, ওই বারবিকিউ রেস্টুরেন্টে কর্মরত মোঃ রেজওয়ান মোল্লা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, যখন তাদের রেস্টুরেন্ট থেকে এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ গ্রেফতার করেন, সেই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ নজরুল ইসলাম হীরাও উপস্থিত ছিলেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এ ব্যাপারে মোঃ নজরুল ইসলাম হীরা জানান, তদন্ত কমিটির ১ জন সদস্য হিসেবে তিনি সর্বদাই পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তিনি।

অন্যদিকে, ঘটনায় গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ ছানোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এটি তদন্ত আওতাভুক্ত বিষয় হওয়াই আমরা এই মুহূর্তে বেশি কিছু বলতে পারছি না। তবে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করছি, খুব শীঘ্রই এ ঘটনার আদ্যোপান্ত প্রকৃত রহস্য সকলের সামনে উদঘাটন করতে আমরা সমর্থ হব।

উল্লেখ্য যে, করোনাকালীন সময়ে পবিত্র ইদুল আজহার ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি করা হয়। তন্মধ্যে ৩৪টি কম্পিউটার গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের তৎপরতায় রাজধানীর বনানী এলাকার হোটেল ক্রিস্টাল ইন থেকে উদ্ধার করা হয়। আর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৭ জনকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছেন পুলিশ।

পছন্দের আরো পোস্ট