জাবিতে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর ভার্চুয়াল স্মারক বক্তৃতা
জাবি প্রতিনিধি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫-তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে আজ অনুষ্ঠিত ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের রূপকার : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শীর্ষক ভার্চুয়াল স্মারক বক্তৃতায় জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু এ অঞ্চলে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চার পথিকৃত।
তিনি পাকিস্তানীদের শোষণ ও বৈষম্য থেকে বাঙালি জাতিকে রক্ষা করার জন্য ৬ দফার মাধ্যমে কনফেডারেশন গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি বাঙালির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক মুক্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই স্বাধীনতার ডাক দেন।
তিনি বাংলার সব শ্রেণি ও পেশার মানুষকে ভালোবেসেছেন। বিরোধী চক্র ১৯৭১ সালের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে। এই হত্যাকা-ের পেছনে দেশি-বিদেশি পরাজিত শক্তি জড়িত ছিল। তিনি বলেন, ইতিহাসে এমন নির্মম হত্যাকান্ড নজিরবিহীন। এমনকি মৃত্যুর পরও খুনিরা তাঁর সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করেছে। বিশ্ব-ইতিহাসে বিরল ও অনন্য গুণের অধিকারী বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে পরাজিত শক্তির ভাবধারায় চালাতে শুরু করে। কিন্তু বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যার হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে অগ্রসর হচ্ছে।
‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতির দর্শন’ শীর্ষক অপর স্মারক বক্তৃতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছিলেন। এজন্য বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে কৃষক-শ্রমিক বান্ধব অর্থনীতি গড়ে তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু একই সঙ্গে কৃষি এবং শিল্প উন্নয়নেরও পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সকল প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তিনি জাতীয়করণের মধ্যদিয়ে শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে মনোনিবেশ করেছিলেন।
বক্তা নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষকে বিশেষ ভালোবেসেছেন। এ কারণেই তিনি গণমানুষের নেতা হতে পেরেছেন।
সভাপতির ভাষণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, আদর্শ একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে অর্জিত হয়। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার আদর্শ তাঁর উত্তরাধিকারীগণ গ্রহণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা পিতার আদর্শ এবং নিজ চিন্তা-ভাবনার সমন্বয় করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের নিয়ে যাচ্ছেন।
ভার্চুয়াল স্মারক বক্তৃতার অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারির জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। এই ভার্চুয়াল স্মারক বক্তৃতা জুম প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জনসংযোগ কার্যালয় জা বি’ ফেসবুকে প্রচার করা হয়।